ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তৈরি পোশাকের চালানে চাল রপ্তানি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
তৈরি পোশাকের চালানে চাল রপ্তানি ...

চট্টগ্রাম: নগরের একটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে তৈরি পোশাক রপ্তানির চালানে ১ কেজি ওজনের চাষি ব্রান্ডের ১০ প্যাকেট চাল পাওয়া গেছে।  

ছিল বনফুল সেমাই ২০০ গ্রাম ওজনের ৭ প্যাকেট, ৪০ গ্রাম ওজনের রাঁধুনি গুঁড়া মসলা ৬ প্যাকেট, পাঁচফোড়ন ৩০০ গ্রাম।

এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই ডিপো থেকে রপ্তানি চালান শুল্কায়নের সময় ওই চালের খোঁজ পান কাস্টমস কর্মকর্তারা।

 

সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী মাদামবিবির হাটের জাহানারা ট্রেডিং করপোরেশন নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের চালান ছিল এটি। এর সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের বাদামতল মোড়ের এমআর এক্সপ্রেস লিমিটেড।  

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের একজন কর্মকর্তা বলেন, ওসিএল ডিপো দিয়ে ২২ কার্টনের ( ব্যাগে) তৈরি পোশাক ঘোষণার একটি রপ্তানির চালান রেনডম যাচাই–বাছাইয়ের সময় কর্মকর্তাদের সন্দেহের পর একটি কার্টন খুলে ৫ কেজি সুগন্ধী চাল পাওয়া গেছে। রাত হয়ে যাওয়ায় শনিবার পুনরায় ইনভেন্ট্রি (পণ্য মিলিয়ে দেখা) করা হয়েছে।  

তিনি জানান, তাদের ঘোষণা ছিল ২ হাজার ১০০ পিস টি শার্ট ও ১ হাজার ১০৩ পিস প্যান্ট। পাওয়া গেছে ১ হাজার ৩৪৮ পিস টি শার্ট, ৩৯২ পিস পাজামা বা টাউজার, ১ হাজার ৩৬২ পিস প্যান্ট, গার্লস টপ ৪৯৬ টি, লেডিস শার্ট ১১০টি, গাউন বা নাইটি ৫১টি, বয়'স হাফ প্যান্ট ২৪টি, ব্রা ১১০টি। এর মধ্যে ঘোষণাতিরিক্ত তৈরি পোশাক ৬৯০ পিস।

পোশাকের খাদ্য সামগ্রী কীভাবে এলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি তৈরি পোশাক রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচারের বিষয়টি তদন্ত করছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। তদন্তে বেশ কিছু চালানে অর্থ পাচারের প্রমাণ মিলেছে। সর্বশেষ ১০টি চালানে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পায় অধিদপ্তর।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, (আপডেট ১৯৩৩ ঘণ্টা), সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৩
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।