ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জিমনেসিয়ামে পড়ে আছে ইভিএম, বন্ধ খেলাধুলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
জিমনেসিয়ামে পড়ে আছে ইভিএম, বন্ধ খেলাধুলা ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: একমাসেরও বেশি সময় আগে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন শেষ হয়েছে। তবে এখনও জিমনেসিয়ামে পড়ে আছে নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএম মেশিন।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হলেও এসব সামগ্রী সরিয়ে নিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি নির্বাচন কমিশন।  

জানা গেছে, বিভিন্ন নির্বাচনের সময় চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হলটি ব্যবহার করা হয় কন্ট্রোলরুম হিসেবে।

নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ থেকে ফলাফল ঘোষণা সবই করা এ জিমনেসিয়াম থেকে। গত ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন শেষ হওয়ার পর এখনও জিমনেসিয়ামে পড়ে আছে কমিশনের ২ হাজার ৬৬৪টি ইভিএম মেশিন। যা দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ইভিএম মেশিনগুলো সরিয়ে নিতে আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।  

নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপনির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী সরঞ্জাম রাখার জন্য সিজেকেএস জিমনেশিয়াম বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে পূর্বনির্ধারিত ইনডোর খেলাসমূহ সাময়িক স্থগিত করা হয়। কিন্তু নির্বাচন সম্পন্নের পর এখনও নির্বাচনী সরঞ্জাম সরিয়ে না নেওয়ায় সংস্থার ক্রীড়াসূচির মধ্যে স্থগিতকৃত ইনডোর খেলাসমূহ আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় চট্টগ্রামের খেলাধুলার স্বার্থে সিজেকেএস জিমনেশিয়ামে রক্ষিত নির্বাচনী সরঞ্জাম যথাসম্ভব শীঘ্রই সরানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ব্যাটমিন্টন ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, সিজেকেএস এক বছরের জন্য বিভিন্ন খেলার শিডিউল ঠিক করে। এর মধ্যে মাঠের খেলা ছাড়াও রয়েছে ইনডোর বেশকিছু ইভেন্ট। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইভিএমগুলো জিমনেসিয়ামে রেখে দেওয়ায় শিডিউলভিত্তিক খেলাগুলো আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া ইভিএমগুলো দিনের পর দিন এখানে পড়ে থাকলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনকে সিজেকেএস’র পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, যাতে ইভিএমগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।  

চট্টগ্রাম সিনিয়র আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, সিজেকেএস এর চিঠি পাওয়ার পর ইভিএমগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য গত ২০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। সেখান থেকে নির্দেশনা এলে আমরা সরিয়ে নিতে পারবো। যেহেতু মেশিনগুলো রাখার জন্য আমাদের কোনো জায়গা নেই, তাই আপাতত সেখানে রাখা হচ্ছে। ইভিএম এর কারণে খেলোয়াড়দের সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে, এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।