ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘এমন আইনের পক্ষে ওকালতি করুন, যা নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয়’ 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
‘এমন আইনের পক্ষে ওকালতি করুন, যা নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয়’ 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ‘শরণার্থী আইন এবং স্থানচ্যুতি’ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সহানুভূতি অবশ্যই কর্মে রূপান্তরিত করতে হবে। আসুন আমরা এমন আইনের পক্ষে ওকালতি করি যা নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয়, তাদের মর্যাদা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের জীবন পুনর্নির্মাণের সুযোগ দেয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় আইন সম্মেলনের প্রথমদিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় আইন অনুষদ অডিটোরিয়ামে ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে আইন’ প্রতিপাদ্যে শুরু হয়েছে এ আইন সম্মেলন।

যা চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক আইন’ অত্যন্ত তাৎপর্য ধারণ করে। ন্যায়বিচারের রক্ষক হিসেবে, আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আইনি কাঠামো আন্তর্জাতিক নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ন্যায়পরায়ণতা, ন্যায্যতা এবং সহযোগিতা বজায় রাখার মাধ্যমে আমরা বিশ্বমঞ্চে আমাদের অবস্থান সুরক্ষিত করি।

তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ আইন’ কেবল বর্তমান প্রজন্মের অধিকারই নয়, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা যে উত্তরাধিকার রেখে যাচ্ছি তাও রক্ষা করা। আসুন আমরা এমন আইন প্রণয়ন করি যা একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে কাজ করে। ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের মানবিক সংকট এবং প্রতিক্রিয়া’ আজকের বিশ্বে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকতা রাখে। ন্যায়বিচারের রক্ষক হিসাবে আমরা নিপীড়িতদের সহায়তা প্রসারিত করার জন্য আমাদের বাধ্যবাধকতাকে উপেক্ষা করতে পারি না। সংঘাতের সময় আইন সুরক্ষা এবং সমাধান প্রদান করে।

প্রথমবারের মতো আয়োজিত দুই দিনব্যাপি এ আইন সম্মেলনে দেশি-বিদেশি প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৭০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এছাড়া রয়েছেন ৩০জন প্যানেল স্পীকার।  

চবি আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রকিবা নবী’র সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী এবং মুখ্য আলোচক ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া।  

আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং সিনিয়র জেলা ও সেশন জজ ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া।  

অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একধরনের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। বিভিন্ন ধরনের আইন সেই শৃঙ্খলা মেনে চলতে সাহায্য করে থাকে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানবজীবনে বাহ্যিক পরিবর্তন করে না বরং মানব সমাজের সামগ্রিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। সারা বিশ্বে আইনের শাসনে পরিবর্তন এসেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আইনের শাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আইনের শাসন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সমাজে গণতন্ত্রের চর্চা অনিবার্য।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
এমএ/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।