ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কমেছে বিদেশি ফলের আমদানি, দাম আকাশছোঁয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
কমেছে বিদেশি ফলের আমদানি, দাম আকাশছোঁয়া ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: নগরের সবচেয়ে বড় ফলের আড়ত ফলমন্ডি। দেশি ও বিদেশি সব ধরনের ফলের সমাহার থাকে এ আড়তে।

 শুধু নগরে নয়, ফলমন্ডির আড়ত থেকে সব উপজেলায় বিদেশি ফলের চাহিদা মেটানো হয়। তবে আমদানি কমায় আড়তে বিদেশি ফলের যোগান নেমেছে অর্ধেকে।
যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।  

বিদেশি ফলের বাজারে ২০০ টাকার নিচে কোনো ফল নেই পাওয়া যাচ্ছে না। বিদেশি ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা প্রতিকেজি সবুজ আপেল ৩০০ টাকা, লাল আপেল ২৬০-৩২০, কমলা ২০০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

এছাড়া আনার প্রতিকেজি ৩০০-৪০০ টাকা এবং মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। সাদা আঙ্গুর ২২০-২৫০, লাল আঙ্গুর ৩৫০-৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত তিনমাসের ব্যবধানে এসব ফলের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০০-১৫০ টাকার মতো। যা বছর দুয়েক আগেও ১৫০-২০০ টাকার মধ্যেই কেজিতে বিক্রি করতেন খুচরা বিক্রেতারা।  

আড়তদাররা বলছেন, মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, ভারত, ভুটান, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মিসর সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ফল আমদানি করা হয়। আর বিদেশি এসব ফলের সিংহভাগ আমদানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বিদেশি ফলের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু বর্তমানে ডলারের বাড়তি দাম ও শুল্ক বৃদ্ধি সহ নাবা কারণে আমদানি কমায় বাজারে বিদেশি ফলের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।  

এদিকে বিদেশি ফলের আমদানি কমায় দেশে উৎপাদিত ফলের উপরও চাপ বেড়েছে। তাই সেগুলোর দামও আগের চাইতে বেশি। দেশে উৎপাদিত ফলের মধ্যে কলা, ড্রাগন ফল, সবুজ মাল্টা, জাম্বুরার চাহিদা এখন বেশি চাহিদা রয়েছে।

ফলমন্ডি থেকে বিদেশি ফল কিনতে আসা খুচরা ব্যবসায়ী ছগির মিয়া জানান, বিদেশি ফলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমেছে। ক্রেতার অভাবে অনেক ফল নষ্ট হয়। তাই এ ব্যবসা চালিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

ফলমন্ডির আড়তদার আহছান উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমদানি খরচ ও শুল্ক দুটোই বেড়েছে। তাই আমদানি কমায় দাম অনেক বেড়েছে বিদেশি ফলের। এখানের সব আড়ত মিলিয়ে এখন প্রতিদিন মাত্র ২০-৩০ ট্রাক বিদেশি ফলের চালান আসে। তার মধ্যে আবার ৫ শতাংশ পচা থাকে। বিদেশি ফলের মধ্যে আনুপাতিক হারে সবচেয়ে দাম বেড়েছে মাল্টার।  

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ফলের।

নগরের দামপাড়া এলাকার বাসিন্দা মিঠু দাশ বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার পর থেকে দেশি ও বিদেশি ফলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আপেল-মাল্টা সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া। কিন্তু বাসায় শিশু ও বয়স্ক সদস্য রয়েছেন তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে ফল কিনতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।