ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘দুই মাসের মধ্যে আউটার স্টেডিয়ামে ফুটবল টুর্নামেন্ট’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
‘দুই মাসের মধ্যে আউটার স্টেডিয়ামে ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদারেরা আউটার স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য ম্লান করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান দায়িত্ব নিয়েই সেসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন।

কথা দেন, এ স্টেডিয়ামকে খেলার উপযোগী করে গড়ে তুলবেন। তিনি কথা রাখলেন, স্থাপন করলেন উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আউটার স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সিজেকেএস সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও সিজেকেএস সহ-সভাপতি রাকিব হাসান, সিজেকেএস সহ-সভাপতি লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরী, একেএম এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও মশিউর রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল বশর প্রমুখ।

চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামকে সাজানো হচ্ছে নতুন রূপে। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে শুরু হচ্ছে কাজ। জেলা প্রশাসন মেলাসহ নানান অনুষ্ঠান বন্ধ করে আশপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর পুরো মাঠ নতুনভাবে সাজাতে চায় সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, আউটার স্টেডিয়ামের বর্তমান আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট। এর মধ্যে ৮ হাজার বর্গফুটে হবে ফুটবল খেলার মাঠ। মাঠের চারপাশে ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিস, ভলিবলসহ নানা খেলাধুলার জন্য ব্লক থাকবে। সুইমিং পুলের দেয়ালের দিকে হবে নেট প্র্যাকটিস ব্লক। স্টেডিয়ামের গ্যালারির দিকে ১৫০ থেকে ২০০ লোকের বসার জন্য গ্যালারি এবং সার্কিট হাউজ প্রান্ত ও নুর আহমদ চৌধুরীর প্রান্তে হবে ওয়াকওয়ে। এছাড়া বাকি জায়গায় টয়লেট সুবিধা, ড্রেসিং রুম এবং বসার জায়গা থাকবে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আমরা আউটার স্টেডিয়ামকে ফুটবল মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। এখানে যাতে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার প্র্যাকটিস হয় সেসব আয়োজন রাখতে চাই। একইসঙ্গে ওয়াকওয়ে হবে। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আমরা মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট করতে চাই। এজন্য শিগগিরই মাটি ভরাট ও ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আজ আমরা এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি।

তিনি বলেন, আউটার স্টেডিয়াম থেকে আকরাম, নান্নু, আশিষ ভদ্র, তামিম, আফতাবদের মতো অনেকেই উঠে এসেছে। আবার আউটার স্টেডিয়ামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে।  

ইতিমধ্যে মাঠের চারপাশে ফেন্সিং দিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।