ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দর শ্রমিকদের জন্য সোয়া ৫ কোটি টাকা প্রণোদনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
বন্দর শ্রমিকদের জন্য সোয়া ৫ কোটি টাকা প্রণোদনা ...

চট্টগ্রাম: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দরের অধীন বার্থ, টার্মিনাল ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর শ্রমিকদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। ৪৬ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত ৬ হাজার ৫১২ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে ৮ হাজার টাকা করে ৫ কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বন্দর ভবনের সামনে প্রণোদনার চেক বিতরণ করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

এ সময় বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর ফজলার রহমান, সদস্য (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদুল আলম, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশীদ, সচিব মো. ওমর ফারুক, বার্থ টার্মিনাল ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ফজলে ইকরাম, বন্দর সিবিএ সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক, শ্রমিক নেতা মীর নওশাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বন্দর সচিব জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের ১৯ জুলাই তারিখের স্মারকের (নম্বর-১৮.০১৬.০২৮.০০.০০.০০১.২০১০-৪২৭) ভিত্তিতে চবকের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ১৬টি পদ সাময়িকভাবে স্থানান্তর পূর্বক বন্দরের সদস্যের ( প্রশাসন ও পরিকল্পনা) অধীনে ১৬ জন কর্মচারীর সমন্বয়ে এডহক ভিত্তিতে শ্রম শাখা চালু করা হয়। ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক কর্মচারীদের যাবতীয় কল্যাণমূলক কার্যাবলি এবং অবসরোত্তর আর্থিক সুবিধাদি যেমন-গ্র্যাচুয়িটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, মেয়ের বিয়ের আর্থিক সহায়তা ও দুর্ঘটনায় আহত হলে জীবিকা ভাতা ইত্যাদি শ্রম শাখা কর্তৃক শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড থেকে দেওয়া হয়। চবকের কল্যাণ তহবিল নীতিমালা ২০১৩ অনুযায়ী কল্যাণ ফান্ড পরিচালিত হয়।  

বন্দরের বিভিন্ন বার্থ, টার্মিনাল ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের অধীনে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের এ পর্যন্ত শ্রম শাখা থেকে ১ হাজার ৪৩ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে মেয়ের বিয়ের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, ১২৫ জন শ্রমিক কর্মচারীকে জীবিকা ভাতা প্রদানসহ ১ হাজার ৩৬৯ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে গ্র্যাচুয়িটি ও প্রভিডেন্ড ফান্ড থেকে অর্থ দেওয়া হয়েছে।

এ পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রণোদনা বা উৎসাহ বোনাস হিসেবে ২০১৫ সালে ৬ হাজার ৫৬১ জনকে ৭ হাজার টাকা করে মোট ৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা, ২০১৯ সালে ৬ হাজার ৫০৯ জনকে ৮ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ৫ কোটি ৫৩ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা, ২০২০ সালে ৭ হাজার ২৩৪ জনকে ১১ হাজার টাকা করে মোট ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, ২০২১ সালে ৭ হাজার ৫৫৭ জনকে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ২০২১ সালে ৬ হাজার ৭৫২ জনকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ২০২২ সালে ৬ হাজার ৬৯৮ জনকে ৯ হাজার টাকা করে মোট ৬ কোটি ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা, ২০২৩ সালে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৬ হাজার ৬৭১ জনকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।