ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিভাগের অসহযোগিতামূলক আচরণ, ভর্তি বাতিল চান চবি শিক্ষার্থী

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
বিভাগের অসহযোগিতামূলক আচরণ, ভর্তি বাতিল চান চবি শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বিভাগের নানান অনিয়ম, অফিস স্টাফদের অপেশাদার এবং অসহযোগিতামূলক আচরণের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান না পাওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিলের আবেদন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভর্তি বাতিলের আবেদনকারী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নূরুদ্দীন শহীদ।

এর আগে ১৩ ডিসেম্বর চবির ইংরেজি বিভাগের সভাপতিকে মাধ্যম করে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের কো-অর্ডিনেটর বরাবর ই-মেইলে ভর্তি বাতিলের আবেদন করেন তিনি।

আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমি ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের মাস্টার্সের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী।

বিভাগের নানান অনিয়ম, অফিস স্টাফদের অপেশাদার, হীন এবং অসহযোগিতামূলক আচরণের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সমাধান না হওয়া, বারবার একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটা এবং সর্বোপরি ইংরেজি বিভাগে শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ের হওয়া, এমনকি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনকে বিরক্তিকর ভাবা ইত্যাদি কারণে আমি এ বিভাগের মাস্টার্স থেকে আমার ভর্তি বাতিল করতে মনস্থির করেছি। অতএব এ বিষয়গুলো বিবেচনাপূর্বক আমার ভর্তি বাতিলের আবেদন গ্রহণ করে নানাবিধ নিপীড়ন থেকে রেহাই পেতে সহায় হোন।

মোহাম্মদ নূরুদ্দীন শহীদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি আমার আবেদনপত্রে ভর্তি বাতিলের সবগুলো কারণ উল্লেখ করেছি। এ বিভাগে নানান সমস্যা রয়েছে। কেউ হয়তো এগুলো নিয়ে কথা বলে না বিভিন্ন কারণে। তবে আমি চাই এ সমস্যাগুলোর সমাধান হোক। এটা আমার পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ।  

তিনি আরও বলেন, এখানে শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার সবচেয়ে কম। অফিসের স্টাফদের আচরণ অত্যন্ত অপেশাদার এবং অসহযোগিতামূলক। তাদের আচরণ এমন যে, তারা একেকজন বস। সরকারি দফতরগুলোতে আমলাতান্ত্রিক যে কালচার আমরা লক্ষ্য করি, এখানেও ঠিক এমন। দীর্ঘদিন ধরে মৌখিক ও লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়ে কোনো ফলাফল পাইনি।  

অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইংরেজি  বিভাগের সেশনজটের কবলে পড়ে অনেকে একপর্যায়ে পড়াশোনাও ছেড়ে দেওয়ার নজির আছে। এছাড়া ঠিক মতো ক্লাস না হওয়া, সময়মত রেজাল্ট না দেওয়া, ভর্তির সময় ফর্ম ফিলাপসহ সবসময় দীর্ঘসূত্রিতা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি। এসব কারণেই আমি প্রতিবাদস্বরুপ ভর্তি বাতিলের আবেদন করেছি।  

নূরুদ্দীন শহীদ বলেন, আমার প্রত্যাশা হলো শিক্ষার্থীবান্ধব একটি বিভাগ হবে। যেখানে শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। এমন একটি পরিবেশ থাকবে, যেখানে শিক্ষক, কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক আচরণ করবে। যাতে করে শিক্ষার্থীদের হতাশ কিংবা অপদস্ত হতে না হয়।  

ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে বলেন, একজন শিক্ষার্থীর এরকম একটি আবেদন আমি ফেইসবুকে দেখেছি। ডিপার্টমেন্টের ক্লাস, পরীক্ষা সবকিছু ঠিক মতোই চলছে। সে সম্ভবত পারিবারিক বা অন্যকোনো কারণে মানসিক সমস্যায় আছে। অন্যথায় এভাবে ফেইসবুকে লেখার কথা না। তাকে নাকি অফিসে ঢুকতে দেয় না, আমি স্টাফদের জিজ্ঞেস করলাম, তারা বলছে স্যার কোনো কাজ না থাকলে উনি অফিসে ঢুকে কি করবেন। সে ডিপার্টমেন্টে আসুক, আমরা কথা বলবো। কি সমস্যা সেটাও দেখবো।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।