ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএনপির একটি কর্মসূচিও ব্যর্থ হয়নি: নোমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
বিএনপির একটি কর্মসূচিও ব্যর্থ হয়নি: নোমান

চট্টগ্রাম: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, সরকার বার বার চেষ্টা করেছে আমাদের সব কর্মসূচি ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু একটি কর্মসূচিও ব্যর্থ হয়নি।

বরং কর্মসূচিগুলো অসাধারণ হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের একদফা আন্দোলনের কায়েম না হবে ততদিন আমাদের সংগ্রাম চলবে।
আমরা বলতে চাই, বালির বাঁধ যতই বড় দেখা যাক সে বালির বাঁধ থাকবে না। আমরা বালির বাঁধের বিরুদ্ধে।  

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে এনায়েত বাজার মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের বিজয় র‍্যালী পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল থেকে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা বর্ণিল সাজে নগরের এনায়েত বাজার মোড়ে সমবেত হয়। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী মুক্তির দাবিতে একাধিক ব্যানার ফেস্টুন দেখা যায়।  

সমাবেশ শেষে আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে বিজয় র‍্যালী জুবলি রোড, তিন পুলের মাথা হয়ে নগরের মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানান।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অবিলম্বে মুক্তি দাবি জানিয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, মুক্তি না দিলে কারাগার ভেঙ্গে আমরা তাকে মুক্ত করবো। আমাদের নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস সহ সকল রাজবন্দীদের মুক্ত করবো। এ মুক্তি আন্দোলনের মধ্যে করতে হবে। এ সরকারের কাছে চাওয়ার কিছু নেই। সরকার ধ্বসে পড়েছে। আমরা জয়ের মুখোমুখি, বিজয় অর্জনের প্রাক্কালে। দেশের জনগণের ক্ষমতা জনগণকেই ফিরিয়ে দিতে। এ লড়াই দেশের জনগণের কণ্ঠরোধ করে সর্বক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে তার বিরুদ্ধে। সে বাধাকে উপেক্ষা করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আমরা সরকারকে এটা বলতে চাই, বালির বাঁধ কখনও টিকবে না। জোয়ারের পানি এগিয়ে যাবে।  

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করেই আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। এই যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কিন্তু আজকে এই দেশ সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রবিহীন হয়ে পড়েছে। এই দেশে আজ মানুষের ভোটের অধিকার নেই। সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করা হয়েছে।  
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের মানুষ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আওয়ামী ডামি, আওয়ামী স্বতন্ত্র, আওয়ামী নৌকা, মনোনীত নৌকার এক অদ্ভুত নির্বাচনের আয়োজন চলছে। একই ক্লাবের খেলা। খেলোয়াড়ও একই দলের। নিজেরাই নিজেদের বিরোধী দল। ভোটারদের কাছে আহ্বান, জবরদস্তি করলেও ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ভোট বর্জন করুন।  

যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।  

এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য এরশাদ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।