ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১১৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চসিকের সংবর্ধনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
১১৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চসিকের সংবর্ধনা ...

চট্টগ্রাম: মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি তাদের অনেকেই বেঁচে নেই।

আমিসহ আমার সহযোদ্ধারাও জীবনের শেষপ্রান্তে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ হওয়া উচিত আমৃত্যু তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য,  চেতনা, আদর্শ তুলে ধরতে কাজ করা।
 

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১১৩ বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা ও সম্মানীর টাকা তুলে দেন মেয়র।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, মানুষের মুক্তির যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছি তা বাস্তবায়নে তরুণদের প্রস্তুত করতে হবে। সোনার বাংলা গড়ার অভিযাত্রায় পাড়ি দিতে হবে আরো বহুদূরের পথ। এ দায়িত্ব তরুণদেরই নিতে হবে। কারণ তরুণরা যা পারে অন্যরা তা পারে না। মুক্তিযুদ্ধেও সম্মুখ সারির লড়াইয়ে ছিলেন মূলত তরুণরাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করা ভারতের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। চিকিৎসাসহ যেকোনো প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের ভিসা ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বে মডেলে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ়তর হবে বলে আমার বিশ্বাস।  

চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার কামাল। বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, কাউন্সিলর নুরুল আমিন।  

উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর শহীদুল আলম, ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, নুরুল হক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবদুল মান্নান, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, জাফরুল হায়দার চৌধুরী, পুলক খাস্তগীর, নূর মোস্তফা টিনু, হুরে আরা বিউটি, শাহীন আকতার রোজী, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাব্বির রাহমান সানি, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন,  আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, শাহরীন ফেরদৌসী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা, চসিকের উপ-সচিব আশেকে রসুল টিপু প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।