ঢাকা, শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভিড় বাড়ছে চট্টগ্রামের বইমেলায়

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
ভিড় বাড়ছে চট্টগ্রামের বইমেলায় ...

চট্টগ্রাম: সকাল সাড়ে দশটা। অক্ষরবৃত্তের স্টলে ‘আগন্তুক’ বইয়ের ক্রেতাদের অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন কাজী শরীফুল ইসলাম।

 

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘আগন্তুক’। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলায়।

তৃতীয় মুদ্রণ আসছে। আজ দিনের একটি বড় সময় বইমেলায় থাকবো।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সিআরবি শিরীষতলায় সরেজমিন দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১০টার পর থেকে লোকসমাগম বাড়তে থাকে বইমেলায়। শিশুতোষ বই, উপন্যাস আর চিরায়ত বই বিক্রি হচ্ছে বেশি।

কোলাহল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলাকে ঘিরে বসানো ফুচকা, পিঠা, চায়ের অর্ধশতাধিক দোকান জমে ওঠে। মৃৎশিল্পের স্টলটিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাবেক সভানেত্রী নূর জাহান খান। বলাকার স্টলের সামনে চেয়ারে বসে পড়ছিলেন বই। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সকালে ভিড় কম হবে সেই কারণে আসা। বইমেলা আমাকে উজ্জীবিত করে। এটা প্রাণের মেলা, মানুষকে টানে। দশটা বই দেখে একটা নিচ্ছি। উপভোগ করছি। আগে বইমেলার পরিসর ছোট ছিল, কিন্তু প্রাণ ছিল। শিশুরা মেলায় আসে। তারা বইমুখী হবে। সিনিয়র সিটিজেনরা চিন্তিত কারণ শিশু-কিশোররা মোবাইল, কার্টুন, গেমে আসক্ত হচ্ছে।  

বইমেলা মঞ্চের সামনে সকালে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা রংতুলি আর রঙিন পেনসিলে শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন বিষয় ফুটিয়ে তোলে ছোট্ট ক্যানভাসে।

সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি সাহাবুদ্দিন হাসান বাবু বাংলানিউজকে বলেন, বইমেলা যতটা জমজমাট ততটা বিক্রি নেই। যদি মেলা কর্তৃপক্ষ বইয়ের ক্রেতাদের জন্য কয়েক লাখ টাকার বই পুরস্কারের ব্যবস্থা করতো তাহলে বিক্রি বাড়তো।

তিনি আশা করেন, আজ থেকে বইমেলায় বেচাকেনা বাড়বে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।  

চসিকের আয়োজনে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায় এ বইমেলা হচ্ছে।

৪৩ হাজার বর্গফুটে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৯২টি প্রকাশনা সংস্থার ১৫৫টি স্টল। এর মধ্যে ডাবল স্টল ৭৮টি, সিঙ্গেল ৭৭টি।

এবারের বইমেলার বাজেট ৫০ লাখ টাকা। এবারও জাতীয় জীবনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য একুশে সম্মাননা স্মারক পদক ও সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হবে।

বাতিঘর, প্রথমা, অন্যধারা, সাহিত্য বিচিত্রা, মূর্ধন্য, লাবণ্য, তৃতীয় চোখ, আবির প্রকাশন, গলুই, বলাকা, খড়িমাটি, শব্দশিল্প, কাকলী, কালধারা, বিদ্যানন্দ, কথাপ্রকাশ, নন্দন, শৈলী প্রকাশন, বলাকা, ইতিহাসের খসড়া, রাদিয়া, চন্দ্রবিন্দু, গল্পকার, প্রজ্ঞালোক, নালন্দা, শিশুপ্রকাশ, প্রতীক, আদিগন্ত, ভোরের কাগজ প্রকাশন, শিখা, সত্যয়ন, নন্দন, শালিক, কথাবিচিত্রা, কথা প্রকাশ, আফসার ব্রাদার্স, বাবুই, গাজী, কিডস পাবলিকেশন, হাওলাদার, ফুলঝুড়ি, নাগরী, ফুলকি, জ্ঞানকোষ, কিংবদন্তি, প্রথমা, দ্বিমত, সালফি, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, মাইজভাণ্ডারী প্রকাশন, আলোকধারা বুকস, লাল সবুজ, বঙ্গজ, এডুসেন্ট্রিক প্রকাশন, তরজুমান, বইবাজার, কারেন্ট বুক সেন্টার, শালিক সহ বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।