ঢাকা, শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বইমেলায় ভিড় বাড়লেও বিক্রি কম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
বইমেলায় ভিড় বাড়লেও বিক্রি কম

চট্টগ্রাম: নগরের শতবর্ষী বৃক্ষরাজির ছায়ায় ঘেরা নগরের সিআরবি শিরীষতলায় চলছে অমর একুশে বইমেলা। প্রথমবারের মতো এ জায়গায় বই মেলার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

বই মেলায় মানুষের আনাগোনা বেশি থাকলেও বিক্রি কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

তারা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সমাগমও বেড়ে যায়।

মানুষ এসে বই দেখেন কিন্তু কিনেন কম। গত বছর আমরা চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণের বইমেলায় একটি স্টলে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার বই বিক্রি করেছি সেখানে এ বছর এক লাখ টাকার কাছাকাছি বই বিক্রি হয়েছে।  

৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই বইমেলায় চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন সহযোগিতা করছে। বইমেলায় চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ সারা দেশের মোট ৯২টি প্রকাশনা সংস্থার স্টল রয়েছে। সবমিলিয়ে মেলায় ১৫৫টি স্টল রয়েছে।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে বইমেলায় গিয়ে দেখা যায়, ঠিক সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে দর্শনার্থীদের ভিড়। অধিকাংশ স্টলে ক্রেতার চেয়ে বই নিয়ে ছবি তোলার মানুষই বেশি।  

তবে মেলায় বেশকিছু পাঠক বিভিন্ন বই কেনার লক্ষ্য নিয়ে আসলেও নতুন নতুন বই নজর কাড়ছে তাদের। কেউ কেউ পছন্দের লেখকের বই খুঁজছে আবার কেউ কেউ পছন্দের বিষয়ে ঝুঁকছে।

চারুলিপি প্রকাশনী সংস্থার স্টলে বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের প্রকাশনী সংস্থা ১৫টি নতুন বই এনেছে। আর সবমিলিয়ে ১০০ লেখকের বই আছে আমাদের স্টলে। কিন্তু তেমন সাড়া পাচ্ছি না। অন্যান্য বছরে এই সময়ের মধ্যে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার বই বিক্রি হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ টাকার মতো বই বিক্রি হয়েছে। ’

তবে বইমেলার আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু জানালেন ভিন্ন কথা।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বই কম বিক্রি হচ্ছে, এমন দাবি তাঁদের একটা কৌশল হতে পারে। আমি অনেক ভেবে বুঝলাম অধিক বই বিক্রির কথা প্রচার হলে লেখকেরা বেশি রয়্যালিটি দাবি করতে পারেন। এখন কম বিক্রির কথা প্রচার হলে লেখকেরা সেই দাবি করতে পারবেন না। সেজন্য হয়তো বই বিক্রি কম হচ্ছে এমন কৌশল সামনে আনতে পারে তারা।

উল্লেখযোগ্য কিছু নতুন বইয়ের মধ্যে রয়েছে বিদ্যানন্দ প্রকাশনীর কুমার দাশের লেখা ‘অদেখা কিশোর’, বলাকা প্রকাশনীর মো. আবুল ফয়েজের ‘সর্পদংশন সফলতার গল্প’ ও জামাল উদ্দিনের ‘চট্টগ্রামের ইতিহাস’, কথা প্রকাশ প্রকাশনার আবুল ফজলের ‘রাজ অরাজ’, আফসানা বেগমের প্রতিচ্ছায়া, মজিদ মাহমুদের তুমি শুনিতে চেয়ো না, হরিশংকর জলদাসের জীবন ও কর্ম, সাহিত্য বিচিত্রা প্রকাশনার বাদল সৈয়দের জলে ডোবা সূর্যাস্ত, মিশু চৌধুরীর ‘বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের অভিযাত্রা’।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।