ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নেতার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না, ছাদ থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টা 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
নেতার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না, ছাদ থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টা  আশিকুজ্জামান জয়কে মারধর করার অভিযোগ পাশের ছয়জনের বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ‘আমি বুয়েটের আবরার হত্যা দেখিনি। কিন্তু তার সঙ্গে যা হয়েছিল আমার সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছে।

আল্লাহ সহায় আমি জীবিত আছি। আমি ভাবিনি আমি বাঁচব।
'

সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে চবির এএফ রহমান হলের ৪৪০ নম্বর রুমে নিজ দলের কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হওয়ার পর এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান আশিকুজ্জামান জয়। তিনি চবির পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় কেন- এমন অভিযোগ তুলে আশিকুজ্জামান জয় নামের ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে ঘণ্টাব্যাপী মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ৬ ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে।  

অভিযুক্তরা হলেন- লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মিয়া, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল মিয়া (আতিশ ফয়সাল), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তনয় কান্তি সরকার, ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শাকিল আহমেদ এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের রাসেল রাজ-সহ ১৫ থেকে ২০ জন। তারা ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী আশিকুজ্জামান জয় বাংলানিউজকে বলেন, ইলিয়াস ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কেন খারাপ- এর জের ধরে অভিযুক্তরাসহ আরও ১৫-২০ জন মিলে আমাকে মারধর করেন। তারা আমার ৪৪০ নম্বর রুমে এসে হত্যার চেষ্টা করে। লাঠি, রড, হকিস্টিক এবং চেয়ার দিয়ে আমাকে মারধর করা হয়েছে। একপর্যায় হলের ছাদ থেকে ফেলে দিতে গেলে আমি কোনোমতে দৌড়ে পালিয়ে যাই।

আশিক আরও বলেন, পরে হলের গেটে আবার মারধর করা হয় যখন আমাকে মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে সেটার প্রমাণ মিলবে।  আমি হলের ২ জন সিনিয়রের সহযোগিতায় মেডিক্যালে গিয়ে চিকিৎসা নিই। জানি না কবে সুস্থ হবো। এ বিষয়ে প্রক্টর স্যারকে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছিলাম, স্যার আমাকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি লিখিত অভিযোগ দেব।

এদিকে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বেশিরভাগই সাড়া দেননি।

অভিযুক্ত তনয় কান্তি সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আশিক নেশা করে। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে সে সবার সঙ্গে তর্ক করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হালকা মারধর করেছিল বাকিরা। আমি যতটুকু সম্ভব তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম।  

এ বিষয়ে জানতে বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

চবির সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয় বাংলানিউজকে বলেন, গত রাতে ঘটনার সময় প্রক্টরিয়াল বডি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি আমরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘন্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।