চট্টগ্রাম: কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেছেন, জিম্মি দশা থেকে মুক্ত নাবিকরা এখন আরও সাহসী। কারণ তারা ভয়কে জয় করে দেশে ফিরেছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরের দিকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর অকুতোভয় নাবিকদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নিরাপদ সমুদ্র যাত্রা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক শিপিং সংস্থাগুলো কাজ করছে। আশাকরি সফলতা আসবে।
তিনি বলেন, এর আগে ২০১০ সালেও জাহান মনি নামের আমাদের আরও একটি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেখান থেকে তারা প্রায় ১০০ দিন পর মুক্তি পায়৷ সে পুরোনো অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এগিয়ে গেছি। আজকের অনূভুতি সবার মুখে হাসি।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কুতুবদিয়া থেকে ২৩ নাবিককে নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে এমভি জাহান মণি-৩ নামের একটি লাইটারে জাহাজ। চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর নাবিকদের বরণ করে নেন স্বজনরা। এ ছাড়া নাবিকদের সংবর্ধনা দেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে নাবিকেরা স্বজনদের সঙ্গে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন।
এদিকে নাবিকদের পরিবারেও শুরু হয়েছে স্বজনদের ঘরে ফেরার উৎসব। নানা আয়োজনে নাবিকদের বরণ করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন সবাই অধীর আগ্রহে তাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে আজ।
মৃত্যুর দুয়ার থেকে সন্তান ফিরছেন এই আনন্দে মাতোয়ারা শিমুলের মা শাকেরা বেগম। স্বামীহারা এই নারী অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন ছেলেকে বুকে নেওয়ার জন্য। স্ত্রী ফারজানা আকতার স্বামীর জন্য রেঁধেছেন পছন্দের সব খাবার। তাদের মতোই নিজ দেশের সন্তানদের ফিরে পেয়ে আনন্দিত সারা দেশের মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি