ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শহীদ ওয়াসিমের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে: এরশাদ উল্লাহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৪
শহীদ ওয়াসিমের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে: এরশাদ উল্লাহ

চট্টগ্রাম: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরামের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ।  

তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ওয়াসিম নিহত হয়েছে।

সে ছাত্রদলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিল। তার জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে।
তার প্রতি মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। তার মৃত্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে বেগবান করেছে। ওয়াসিমের মৃত্যু ছাত্র আন্দোলনে অসীম শক্তি জুগিয়েছে। ওয়াসিম আকরাম অধিকার আদায়ের সৈনিক হিসেবে প্রাণ দিয়েছে। তার জীবনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের মুক্তির আন্দোলন সফল হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকালে মুরাদপুরে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে ওয়াসিম আকরামের কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা বাজার বাসভবনে যান। তারা ওয়াসিমের মায়ের সঙ্গে দেখা করেন এবং খোঁজ নেন। তাদের সমবেদনা জানিয়ে যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার কথা জানান। সেখানে তারা শহীদ ওয়াসিম আকরামের কবর জেয়ারত করেন এবং কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। নেতৃবৃন্দ পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দীন আহমেদের চকরিয়া বাসভবন সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে গিয়ে তার মা-বাবার কবর জিয়ারত করেন।  

নাজিমুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের পরিবারের খোঁজখবর রাখার দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপির। কেননা তারা দেশের মানুষের জন্য এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আন্দোলনে নিহত হয়েছেন। যারা আন্দোলনে মৃত্যুবরণ করেছে তাদের শহীদী মৃত্যু হয়েছে। শহীদের রক্ত কোনো দিন বৃথা যায় না। তারা আন্দোলন করে, রক্ত দিয়ে জাতির ওপর থেকে যে বিশাল বোঝা, সেটা সরিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনাকে আজ পালিয়ে যেতে হয়েছে।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা সৈয়দ আজম উদ্দিন, এসকে খোদা তোতন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, কাজী বেলাল উদ্দিন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম, জাফর আহমেদ, শফিকুল ইসলাম শাহীন, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন শাহেদ, আরিফুর রহমান মিঠু, শহিদুল ইসলাম সুমন, সদস্য আল মামুন সাদ্দাম, এনামুল হক এনাম, আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।