ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কালুরঘাট ফেরিতে বার বার দুর্ঘটনা, সেতুর জন্য এক মাস অপেক্ষা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
কালুরঘাট ফেরিতে বার বার দুর্ঘটনা, সেতুর জন্য এক মাস অপেক্ষা ...

চট্টগ্রাম: সংস্কারকাজের জন্য বন্ধ থাকা কালুরঘাট সেতুর দুই পাড়ে ফেরি চালু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ২০২৩ সালের ২১ জুলাই থেকে ফেরি সার্ভিস চালুর পর ঘটেছে কয়েকটি দুর্ঘটনা।

গত ১৫ মাসেও সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা যায়নি।

এ অবস্থায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ বলছে,অক্টোবর মাসের শেষের দিকে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে।

ফেরি দিয়ে কর্ণফুলী নদী পার হতে গিয়ে কালুরঘাটের পূর্বপ্রান্তে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত ট্যাক্সি নদীতে পড়ে যায় শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে। লোকজন চালকসহ একই পরিবারের ৪ যাত্রীকে উদ্ধার করেন, পানিতে তলিয়ে যায় ট্যাক্সিটি।

২৯ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে কালুরঘাট ফেরি সংলগ্ন বেইলি ব্রিজে নিয়ন্ত্রণহীন টেম্পুর ধাক্কায় ফাতেমা তুজ জোহরা (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।  টেম্পুটি বেইলি ব্রিজের রেলিংয়ের সাথে ওই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়।

২২ জুন সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে কর্ণফুলী নদীতে ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যাওয়া নৌকা থেকে পানিতে পড়ে যান দুজন।  

কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত কালুরঘাট সেতু দিয়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া ও রাঙ্গুনিয়ার একাংশের মানুষ নগরে আসা-যাওয়া করেন। সংস্কারকাজের জন্য সেতুতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিকল্প হিসেবে সেতুর পাশে ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া নৌকায় পার হন স্থানীয় বাসিন্দারা।  

১৯৩১ সালে কালুরঘাট রেলসেতু নির্মিত হয়। ১৯৬২ সালে সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।  

সেতু সংস্কারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল এর চুক্তি হয় ২০২৩ সালের ১৬ জুন। চুক্তি অনুযায়ী ৩ মাসের মধ্যে সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল এবং ৮ মাসের মধ্যে মানুষ পারাপার ও সব ধরনের যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার কথা ছিল।

রেলওয়ের সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় কাজের অগ্রগতি পিছিয়ে যায়। সেতুর ১৯টি পিয়ারের তলদেশে এখন জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজ চলছে।

ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, সেতুর ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সেতুটি সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।  

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা জানান, কালুরঘাট সেতুর অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের দিকে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।