চট্টগ্রাম: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ৭ নভেম্বর একটি সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়। শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন হয়, মুক্ত অর্থনীতি, মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা হয়।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের মাঠে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালে জাতি স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাত থেকে স্বকীয় মর্যাদায় একটি স্বাধীন ভূখণ্ড নির্মাণ করার জন্য। স্বাধীনতার পরে মানুষ আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছে। মানুষ যে আশা করেছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-সমাজ নির্মিত হবে, মানুষের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এই অল্প সময়ের মধ্যে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুঃশাসন মানুষের স্বপ্নগুলো চুরমার করে দেয়। তারা বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে। এ কারণেই ৭ নভেম্বর এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সেদিন একটি নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচিগুলো হল, ৭ নভেম্বর সকাল ৬ টায় নাসিমন ভবন বিএনপি কার্যালয়সহ দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং মাইকে শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভাষণ প্রচার করা হবে। সকালে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ। ৯ নভেম্বর চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে ৭ দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে জাসাসের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর বিকেলে ৩ টায় নাসিমন ভবনের সামনে নেভাল চত্বরে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মঞ্চ নাটক অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া ৭ই নভেম্বরের ডকুমেন্টরি (ভিডিও, স্থিরচিত্র) ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়াসহ ফেসবুক, ইউটিউব, অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন স্ব স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, সফিকুর রহমান স্বপন, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, এস এম আবুল ফয়েজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মন্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী হানিফ সওদাগর, থানা সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সদস্য আজিজ উদ্দিন মিন্টু, কেন্দ্রীয় জাসাসের সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন ও কৃষকদলের সদস্য সচিব সাবের আহমেদ টারজান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২৪
এমআই/টিসি