চট্টগ্রাম: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য বেগম রোজী কবির ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ লিভারজনিত রোগে ভুগছিলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক মো.ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য বেগম রোজী কবির ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
বণার্ঢ্য রাজনৈতিক জীবনে রোজী কবির তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে দলটির সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত এই সহযোদ্ধা। তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চট্টগ্রাম নগর কমিটির সভাপতি, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারীসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিচরণ ছিল উল্লেখ করার মতো। তিনি লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি, সাহিক, বিএনএসবি, শিশু একাডেমি, মহিলা ক্রীড়া সমিতি এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সাথে যুক্ত ছিলেন।
বেগম রোজী কবির চট্টগ্রাম নগরের উত্তর হালিশহরে প্রখ্যাত জমিদার আজগর আলী চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণ হালিশহরের ব্যবসায়ী আবদুল মাবুদ সওদাগরের পুত্র এবং বন্দর থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং চট্টগ্রামের প্রসিদ্ধ হোটেল ‘হোটেল শাহজাহান’ এবং এশিয়াটিক কটনমিল এর চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। রত্নগর্ভা বেগম রোজী কবিরের দুই ছেলে দুই মেয়ে বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ-বিদেশে অর্থনীতিবিদ, প্রকৌশলী, শিক্ষক এবং চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন।
বেগম রোজি কবিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন এবং বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
পৃথক শোক বার্তায় তারা বলেন, বেগম রোজি কবির বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে চট্টগ্রামে দলকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিনি কাজ করে গেছেন। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার একদফার আন্দোলনে সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ছিলেন দল অন্তঃপ্রাণ নেত্রী। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সৎ, ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ। চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনীতিতে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তারা মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার, আত্মীয়স্বজনের প্রতি সমবেদনা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
এমআই/টিসি