ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফুটপাতেও জমে উঠেছে শীতবস্ত্র বিক্রি, দামও বেশি

পলাশ দে, নিউজরুম এডিটর  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
ফুটপাতেও জমে উঠেছে শীতবস্ত্র বিক্রি, দামও বেশি ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি সময়ে শীত কিছুটা বাড়ায় শপিংমলের পাশাপাশি ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি।  

শীতবস্ত্র কিনতে স্বল্প আয়ের মানুষেরা ভিড় করছেন জহুর হকার্স মার্কেটের ফুটপাতে।

মূলত বিকেল হতেই এ মার্কেটের ফুটপাতে ভিড় করেন ক্রেতারা। এছাড়াও নগরের চকবাজার, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, আন্দরকিল্লা, লালদীঘিসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে সুলভ মূল্যে বাহারি শীতের পোশাক পাওয়া যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতের এসব দোকানে বয়স্কদের সোয়েটার, কোট, ব্লেজার, মাফলারসহ ছোটদের বিভিন্ন সাইজের শীতের পোশাকের আধিক্য বেশি। হকাররা অনেকে হাঁকডাক করে এসব কাপড় বিক্রি করছেন।

হকার্স মার্কেটে ফুটপাতে মেয়েদের সোয়েটার মানভেদে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, ছোটদের বিভিন্ন পোশাক ৫০ থেকে ৫০০ টাকা, মাফলার ৪০ থেকে ২০০ টাকা এবং গরম টুপি ৫০ থেকে ১৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সাইজের কম্বল কম্বল ২০০-৮০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

জহুর হকার্স মার্কেটের ফুটপাতের ভাসমান দোকানিরা জানান, কিছুদিন শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসলেও তেমন বিক্রি হয়নি। এখন শীত প্রকোপ বাড়ায় গত সপ্তাহ থেকে ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। ফুটপাতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশুদের শীতের পোশাক। এছাড়া জ্যাকেট, সোয়েটার ও বিভিন্ন ধরনের কম্বল কিনছেন ক্রেতারা।  

তবে নিউমার্কেটের ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা গৃহিণী শাহেদা আক্তার বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ভোরে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। তাই বাচ্চাদের জন্য শীতের পোশাক কিনছি। তবে মান অনুযায়ী দাম কিছুটা বেশি।
এদিকে ডিসেম্বরের শেষে শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা অমরেশ চন্দ্র ঢালী।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে বেশি শীত অনুভুত হয় বাংলাদেশে। যত দিন গড়াবে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমবে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে শীত বেশি অনুভূত হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।