ঢাকা, শনিবার, ১৯ পৌষ ১৪৩১, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩ রজব ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দাবির মুখে চবির ইংরেজি বিভাগে খাতা পুনর্মূল্যায়ন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
দাবির মুখে চবির ইংরেজি বিভাগে খাতা পুনর্মূল্যায়ন সংবাদ সম্মেলনে চবির ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্লা পাটওয়ারী।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর (২০২১-২২) পরীক্ষার ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করা হয়েছে। পুনঃমূল্যায়নের পর আগের ফলাফলের তুলনায় সিজিপিএ ও পাসের হার দুটোই বেড়েছে।

 

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় চবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্লা পাটওয়ারী।  

তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের আগেই ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ফলাফল নিয়ে বড় একটি সমস্যা হয়েছিল৷ ২০২১ সালের মাস্টার্স পরীক্ষায় ১১৭ জনের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করে।

এর মধ্যে সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট পেয়েছিল ১৯ জন শিক্ষার্থী, ৩ দশমিক ২৫ পেয়েছিল মাত্র ৪ শিক্ষার্থী এবং বাকিরা ৩ পয়েন্টের নিচে পেয়ে পাস করে।  

এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আমাদের জানান, তাদের এ  ফলাফল অপ্রত্যাশিত এবং পরীক্ষার খাতার যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। তারা এ ফলাফল মানবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে ফলাফল পুনঃমূল্যায়নের সুযোগ নেই। তবে অনেক শিক্ষার্থী এসে বলছিলো, আমরা ৮ বছর পড়াশোনা করে এখন ফেল করে যাচ্ছি, আবার যারা পাস করেছে তাদের তেমন কেউ কোথাও আবেদন করার মতো রেজাল্ট নেই। আমরা শিক্ষার্থীদের আইনের কথা বলি, কিন্তু তাঁরা তাদের জীবনের কথা বলে।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় সিন্ডিকেট সভা কর্তৃক শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ফলাফল পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং নতুন পরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। পরীক্ষা কমিটিই ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কিছু শিক্ষকসহ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খাতা পুনঃমূল্যায়নের জন্য শিক্ষকদের বাছাই করে নেন। নতুন মূল্যায়নে আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বেশি পাস করেছে। এর মধ্যে সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট পায় ৭৫ জন, ৩ দশমিক ২৫ পায় ৩৫ জন এবং একজন শিক্ষার্থী ৩ দশমিক ৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। আগে যেখানে ফেল করে ৪১ জন সেখানে খাতা পুনঃমূল্যায়নের পর তা ১০ জনে নেমে আসে।

অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্লা পাটওয়ারী বলেন, ফলাফল পুনঃমূল্যায়নের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। কেননা এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে নেই। তবে আমরা বিভাগের সব শিক্ষক এবং পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেছি, তারা একমত হয়েছেন যে শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। তাই ফলাফল পুনরায় মূল্যায়ন করা হয়েছে। তবে পুনঃমূল্যায়নের পরে আগের ফলাফলের সঙ্গে বিশাল ফারাক লক্ষ্য করা গেছে, আমরা সে বিষয়ে ইতিমধ্যে পর্যালোচনা রিপোর্ট দিয়েছি বিভাগের কাছে। আশাকরি এর একটি ভালো প্রভাব আমরা ভবিষ্যতে দেখতে পাবো।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।