ঢাকা, শনিবার, ২০ পৌষ ১৪৩১, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩ রজব ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৫
নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরবরাহ করা হয়েছে প্রথম থেকে ৩য় শ্রেণির পাঠ্যবই।

তবে শিক্ষার্থীদের কেউ পেয়েছে একটি, কেউবা পেয়েছে দুটি বই। এতেই খুশি তারা।

বুধবার (১ জানুয়ারি) নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা। ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই বিতরণ করা হবে। আর ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের সব বই বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

এছাড়া আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া মাধ্যমিকের কয়েকটি শ্রেণির বই সরবরাহ করা হয়েছে চট্টগ্রামের স্কুলগুলোতে। মাধ্যমিকের দুই থানা শিক্ষা অফিসের আওতাধীন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৭টি বই সরবরাহ করা হয়েছে স্কুলগুলোতে। বেশিরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম ৫ জানুয়ারি শুরু হবে। এরপর থেকে বিনামূল্যের পাঠ্যবই ধীরে ধীরে সরবরাহ করা হবে।

নগরের কোতোয়ালী ও পাঁচলাইশ থানা শিক্ষা অফিসের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সাতটি বই পাচ্ছে। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই দেওয়া হবে।  

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, চট্টগ্রামের ৬ থানা শিক্ষা অফিস ও সব উপজেলা মিলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১০ লাখ ৪ হাজার ৬৩২ জন। আর এবার নতুন বইয়ের চাহিদা ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ১৮৭ কপি। এর মধ্যে বছরের প্রথম দিনই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যদিও চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও বই না আসায় শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।  

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমদিন ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে। সব বই না পেলেও প্রথমদিনে একটি বই হলেও পাবে। আশা করছি, ৫ জানুয়ারির মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া হবে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টা। কনকনে শীতে নগরের বাকলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের উঁকি। এরই মধ্যে নতুন বই হাতে পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। বই পেয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে কেউ মাঠে আবার কেউ স্কুলের বারান্দায় বসে নতুন বইয়ের মলাট উল্টিয়ে দেখছে।

কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই স্কুল শিক্ষার্থী রানিয়া মাহমুদ বললো, নতুন বই পেয়ে আমার খুব খুশি লাগছে। এখানে দেখছি। বাসায় গিয়ে আবারও দেখবো। আমার কাছে অনেক আনন্দ লাগছে, খুব ভালো লাগছে।

একই বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ বললো, নতুন ক্লাসে উঠেছি। নতুন বই পেয়ে খুব ভালো লাগছে। বাসায় গিয়ে পড়বো।

আজিজ বিনতে আফরা নামের ২য় শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বললো, নতুন বছর, নতুন বই। খুব আনন্দ লাগছে।  

হামজারবাগ রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিব উদ্দিন জানালো, নতুন দিন নতুন বই। আজকের দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বই পেয়ে খুব খুশি লাগছে। বাসায় গিয়ে বাঁধাই করবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৫ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।