ঢাকা, রবিবার, ২০ পৌষ ১৪৩১, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ রজব ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আন্দোলনের মালিকানা হাইজ্যাকের চেষ্টা করবেন না: আমীর খসরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৫
আন্দোলনের মালিকানা হাইজ্যাকের চেষ্টা করবেন না: আমীর খসরু ...

চট্টগ্রাম: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আন্দোলনে যাবেন, নতুন নতুন বয়ান শোনা যাচ্ছে। একটি মহল আন্দোলন হাইজ্যাক করে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন।

বয়ান দেওয়ার আগে একটু চিন্তা করে দেখবেন। আমরা এ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না।
এ আন্দোলন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আন্দোলন। বিএনপি একা এই আন্দোলন করেনি। সব মানুষ মিলে আমরা আন্দোলন করে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছি।

বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে নগরের বিপ্লব উদ্যানের পাশে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর ছাত্রদলের র‍্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শোভাযাত্রা নিয়ে দুই নম্বর গেট থেকে শুরু করে জিইসি মোড় হয়ে ওয়াসা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।  

মালিকানা নিয়ে টানাটানি করলে শেখ হাসিনার পথে যেতে হবে হুঁশিয়ার করে সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, আন্দোলন এবং আন্দোলনের মালিকানা কেউ নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। মালিকানার হিসাব যদি করতে হয়, আমরা (বিএনপি) যেই হিসাব দিব আপনারা লজ্জা পাবেন। আন্দোলনের মালিকানা মানে জনগণ তাদের ভোটে যাকে ইচ্ছে তাকে নির্বাচিত করবে। এটা নিয়ে কেউ খেলাধুলা করলে আবার শেখ হাসিনার পথে যেতে হবে। আপনারা ভোট না নিয়ে নতুন নতুন বয়ান সৃষ্টি করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা, এখানে কাজ করবে না। ভোটে যেতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই না আন্দোলনকে নিয়ে দেশে একটি বিভক্তি সৃষ্টি হোক। আমরা চাই আন্দোলনকে নিয়ে দেশে ঐক্য সৃষ্টি হোক। আর আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে চিরজীবনের জন্য দেশ থেকে যে স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছে সেই ফ্যাসিস্ট ও তার প্রেতাত্মা যাতে আর ফিরে আসতে না পারে।

আমীর খসরু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা নির্বাচিত সংসদ সরকারের হাতে তুলে দেওয়া। এর বাইরে আর কোনো দায়িত্ব নেই। আর যে সংস্কারের গল্প করা হচ্ছে সেগুলো হবে আগামী সংসদে। অর্থাৎ নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা যত সংস্কার প্রয়োজন তা করবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ৯০ সালে ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল। আর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে ছাত্রদলের শক্তিশালী ভূমিকার কারণে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামের সব কলেজে মিছিল মিটিং করতে হবে। ছাত্রদের দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বলতে হবে। আজকে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। তাই আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্র এখনো পুরোপুরি উদ্ধার হয় নাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদলকে রাজপথে থাকতে হবে। দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন, না হলে ছাত্র সমাজ আবারো রাজপথে নামবে।  

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৫
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।