চট্টগ্রাম: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ করা হয়েছে। এর আগে এটির নামকরণ করা হয়েছিল সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে।
২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির উদ্বোধন করলেও এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে পুরোপুরি যানচলাচল শুরু হয়নি। এখন প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায় শুরু হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সূত্র জানায়, দিয়ে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। তবে এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল এবং ট্রেইলর ওঠানামার সুযোগ রাখা হয়নি। এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারে সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ৩০ টাকা, কারজাতীয় গাড়ি ৮০ টাকা, জিপ ও মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ভ্যান ১৫০ টাকা, মিনিবাস ও ট্রাক (চার চাকা) ২০০ টাকা এবং বাসকে ২৮০ টাকা দিতে হবে। এছাড়া ট্রাক (৬ চাকা) ৩০০ টাকা এবং কাভার্ডভ্যানকে ৪৫০ টাকা টোল দিতে হবে।
চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক্সপ্রেসওয়েটির পুনরায় নামকরণ করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে এই এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় করা হবে।
নগরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়। এরপর ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট সিডিএর ৪৫৮তম বোর্ড সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়টির নামকরণ হয়েছিল এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫, জানুয়ারি ২, ২০২৫
এমআর/পিডি/টিসি