চট্টগ্রাম: শীতের সকাল। কুয়াশার চাদরে মোড়ানো প্রকৃতি।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ির কোলে হয়ে গেল ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউর) জমজমাট পিকনিক। সকাল সাতটায় নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইট থেকে শুরু হয় যাত্রা। যাত্রাপথে হৈ হল্লাড় করে পুরো পথ মাতিয়ে রাখেন সবাই।
কেউব গান গেয়ে, কেউবা প্যারোডি কিংবা অভিনয় করে যাত্রাপথকে করে তুলেন স্মৃতিমুখর। দুপুর ১২টায় বাস থামে খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে। স্থানীয় মাটিরাঙ্গা উপজেলা মূল শহর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে সমুদ্র সমতল হতে ৩০০০ ফুট উচ্চতায় আরবারী পাহাড়ে আলুটিলা গুহা। যা নিয়ে সবার মধ্যে কাজ করে রোমাঞ্চকর উত্তেজনা।
ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার আর শীতল পরিবেশ। মশাল হাতে নেওয়ার পরও ‘ভয়’ ভর করে ভ্রমনপিপাসুদের মধ্যে। ৩৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ গুহাটি পার হওয়ার পর প্রত্যেকে ফেলেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। দুপুরের খাবার পর ঘোরাঘুরি শুরু হয় খাগড়াছড়ি লেকে।
ঝুলন্ত ব্রিজের দোলা সবাইকে উড়িয়ে দেয় বাতাসে। পাহাড়ি লেকের শান্ত পানিতে বোট নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। ইডিইউ পরিবারের সদস্যরা পরিদর্শনে যান পাশের একটি মন্দিরেও। এরপর সবাই উড়াল দেন খাগড়াছড়ি সদরে। ছোটখাটো টিলা আর উচুঁ নিচু পাহাড়ের ভাজে সময় কাটিয়ে চট্টগ্রাম শহরে ফিরতে ফিরতেই রাত হয়ে যায়।
আনন্দ ভ্রমনের বিষয়ে ইডিইউর ডিরেক্টর, ফিন্যান্স অ্যান্ড একাউন্টস খলিলুর রহমান (এফসিএমএ) বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে কাজের পাশাপাশি চাই প্রেরণা। আর সেই প্রেরণা দিতে পারে কেবলমাত্র আনন্দ ভ্রমন। এই ধরনের বনভোজন কিংবা পিকনিক একজন মানুষকে নিজের সেরা কাজটি উপহার দিতে অনেক বেশি উৎসাহ যোগায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
আইএসএ/টিসি