চট্টগ্রাম: ছাত্রলীগ নেতাকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে না দেয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) একটি মাইক্রোবাস ভাংচুর হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজ প্রশাসনের কাছে গাড়িটি ব্যবহারের জন্য চেয়েছিলেন চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলামসহ দুইজন।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চমেকের প্রশাসনিক ভবনের নিচে রাখা সাদা মাইক্রোবাসটির (চট্টমেট্রো চ ০২-১৩৫৭) সামনের এবং পেছনের কাচ ভাঙচুর করা হয়।
গাড়িটি উপাধ্যক্ষ ব্যবহার করতেন। এছাড়া প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজেও গাড়িটি ব্যবহার করা হত।
গাড়ির চালক আবদুল আওয়াল সরকার বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকজন ছাত্র এসে গাড়িটি নিজেদের কাজে ব্যবহারের জন্য চেয়েছিলেন। প্রশাসন গাড়ি না দেয়ায় তারা ভাংচুর করেছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ভাংচুরে নেতৃত্ব দিয়েছেন চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম এবং তার সঙ্গে শুভ নামে আরও একজন ছিলেন।
তবে চালক আব্দুল আওয়াল ভাংচুরের সময় রাশেদুল ইসলামকে দেখেননি বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অনেক ছাত্র ছিল তো, আমি কারও চেহারা খেয়াল করিনি।
ব্যক্তিগত কাজে গাড়ি ব্যবহার করতে চাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি গাড়ি চেয়েছিলাম। প্রশাসন দেয়নি। আমি প্রশাসনের কথা মেনে চলে এসেছি। ভাংচুর করার প্রশ্নই আসেনা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাংচুরের বিষয়টি সত্য। গাড়িটি ভাংচুর হয়েছে, আমি দেখেছি। কিন্তু কারা করেছে আমি জানিনা।
চমেকের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা.মুজিবুল হক খান বাংলানিউজকে বলেন, ড্রাইভারের সাথে কী কথা কাটাকাটি হয়েছে। তারপর একটা সমস্যা হয়েছে। আমি মিটিয়ে দিয়েছি। এটা বড় কোন বিষয় না। এটা নিউজ করার দরকার নাই।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬,২০১৫
আরডিজি/টিসি