ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকে চারটি ভবন উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
‘উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকে চারটি ভবন উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব’ ছবি: সোহেল সরওয়ার- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: হাটহাজারীর আমানবাজারে জেএমবি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক দিয়ে দু-চারটি ভবন উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মোহা. আবদুল জলিল মণ্ডল।

আস্তানা থেকে যে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে সেটি সাধারণ মানুষের পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।



রোববার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পুলিশ কমিশনার।  

নগর পুলিশ কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র, গ্রেনেড ও বোমা তৈরির বিস্ফোরক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, গুলি সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।


পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘এতে উদ্বেগের কিছু নেই।   গুটিকয়েক মানুষ অপরাধ করবে সাধারণ মানুষ মেনে নেবে তা আর হবে না। এখন সাধারণ মানুষ আমাদের জঙ্গিদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে, গণমাধ্যম কর্মীরাও সাহায্য করছে।   বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়।   তাই ধর্মের নামে সন্ত্রাস চালানোর এ প্রক্রিয়া সফল হবে না। ’

আমাদের স্পষ্ট যুদ্ধ মিলিট্যান্সের (জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড) বিরুদ্ধে।   যোগ করেন পুলিশ কমিশনার।

আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন, ‘জঙ্গি আস্তানা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাকও উদ্ধার করা হয়েছে। জঙ্গিরা এসব পোশাক ব্যবহার করে অপরাধ করছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক কখনো বাইরের কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়।   আইন করে এটি নিষিদ্ধ করা দরকার। ’

অভিযানে উদ্ধার হওয়া এমকে-১১ স্নাইপার রাইফেল সম্পর্কে বলেন, ‘এ অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু অবধারিত। যা ১৫০০ গজ দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারবে। সাধারণত এটি সেনাবাহিনী ব্যবহার করেন। ’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর পুলিশের ‍অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম শহীদুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য, নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আক্তার প্রমুখ।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আক্তার পরে সাংবাদিকদের বলেন, ছয় মাস ধরে আমানবাজারে এ আস্তানা গড়ে তোলে জঙ্গিরা।

বাবুল আক্তার আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর কাজীর দেউড়ি, নালাপাড়া ও কসমোপলিটন থেকে তিনজনকে আটক করি আমরা। এদের তথ্যের ভিত্তিতে হাটহাজারীর আমানবাজারের ইছহাক ম্যানশন নামের ওই বাড়িতে অভিযান চালাই।   কলাপসিবল গেট টপকিয়েই আমরা বাড়ির ভেতরে ঢুকি।   যে বাসাটির ভেতর থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে সেখানেই থাকতেন জেএমবির বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সামরিক কমান্ডার ফারদিন ওরফে পিয়াস এখানেই থাকতেন।   কিন্তু অভিযানের আগেই সে ওখান থেকে সরে পড়ে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।