চট্টগ্রাম: সাতকানিয়ায় বিএনপি দলীয় প্রার্থী হাজী রফিকুল আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়নি বলে দাবি করেছে উপজেলা বিএনপি। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ৪ ঘণ্টা পর এ দাবি করা হয়েছে।
উপজেলা বি্এনপি নেতাদের দাবি, সাতকানিয়া পৌরসভায় সরকার দলীয় প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত জেনে সাধারণ ভোটার ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তাদের মনোবল ভেঙ্গে দিতেই এ অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও রফিকুলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর
রহমান চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র নবাব মিয়া যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনেই থাকবে।
রোববার বিকেলে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে বন্ধুর ব্যবসায়ী কার্যালয়ে বসে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মেয়র প্রার্থী রফিকুল আলম। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, দলের কাউকে না জানিয়েই সরে দাঁড়িয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, কারও রক্ত চক্ষু, হুমকী-ধমকী, হামলা-মামলাতে সাতকানিয়া বিএনপি’র নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে না।
‘কয়েকদিন ধরে সরকারি দল সাতকানিয়া পৌরসভার সাধারণ ভোটারদেরকে নানাভাবে প্রভাবিত করেও জনমত নিজেদের পক্ষে নিতে না পেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করতে পারেনি। তাই সাদা পোষাকে পুলিশ প্রশাসন ও চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী আওয়ামী ক্যাডারদের যৌথ মহডায় তাকে অপহরন করে একটি বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করেছে। যার কোন ভিত্তি নেই। ’
কোন প্রকার অপপ্রাচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ভোটারদেরকে ৩০ ডিসেম্বর সাতকানিয়া পৌরসভায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
** গ্রেফতার আতঙ্কে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী রফিকুল
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এমইউ/টিসি