চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে মেয়র প্রার্থী হওয়া অবসরপ্রাপ্ত নায়েক শফিউল আলমের সংবাদ সম্মেলনস্থলে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ গ্রুপ। এতে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে এ ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমান পৌর মেয়র শফিউল আলম এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউল আলম। এছাড়া বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ সীতাকুণ্ড পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচনী যুদ্ধে আছেন আরও তিন প্রার্থী।
সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব সৌমিত্র চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বদিউল আলম। এরপর সোয়া সাতটার দিকে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন শফিউল। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে আকস্মিকভাবে ‘ধর ধর ধর শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহুর্তে সীতাকুণ্ড ছাড়’ এ ধরনের স্লোগান দিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে কমপক্ষে ৪০ জন যুবক জড়ো হয়।
তারা প্রেসক্লাব লক্ষ্য করে নির্বিচারে ইট, পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে সংবাদ সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। ইটের আঘাতে প্রেসক্লাবের দরজা-জানালা ভেঙে যায়। জানালার কাচের টুকরা উপস্থিত কয়েকজনের শরীরে গিয়ে পড়ে। এতে সৌমিত্রসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর সীতাকুণ্ড থানার ওসিসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা ঘটনাস্থল থেকে একটি ককটেল ও একটি রকেট ফ্লেয়ার উদ্ধার করেন। তবে পুলিশ যাওয়ার খবর পেয়ে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায় বলে জানান সৌমিত্র।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মেয়র প্রার্থী নায়েক শফিউল আলমের সংবাদ সম্মেলনস্থলে হামলা হয়েছে। পরে দুই পক্ষ আবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। সংবাদ সম্মেলনস্থল লক্ষ্য করে ককটেল এবং রকেট ফ্লেয়ার ছোঁড়া হয়েছে। তবে পুলিশ যাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
আরডিজি/টিসি