চট্টগ্রাম: বিএনপির শেষ পর্যন্ত পৌর নির্বাচনে থাকার ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বুঝতে পেরেই বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে এসেছেন। ’
সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দেন।
খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা ছিলেন দাবি করে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের সবসময়ের বক্তব্যই হচ্ছে আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান। অথচ এদের সঙ্গে নিয়েই খালেদা জিয়া বলেছেন বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি আওয়ামী লীগের আমলে। এর মাধ্যমে তিনি জাতির সঙ্গে কৌতুক করেছেন। ’
খালেদা জিয়ার আমলেই বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া শুধু বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক নন, তিনি জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কেরও পৃষ্ঠপোষক। ’
হাসান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া আচরণবিধি বিএনপিকে সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করে দিয়েছে। সরকারি দলের প্রতিকূলে রয়েছে এই আচরণবিধি। এই আচরণবিধিতে সরকারি দলের চেয়ে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বিএনপিই। ’
বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর বিএনপি জোট হামলা চালাচ্ছে অভিযোগ করে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনে ভরাডুবি হবে এটা বুঝতে পেরে তারা উসকানি দিচ্ছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এত উসকানি সত্ত্বেও আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরতে বলেছি। ’
নির্বাচনকে সামনে রেখে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘ভারতের চেয়ে নির্বাচনী পরিবেশ অনেক ভালো। আর যেসব ঘটনা ঘটছে তাও বিএনপি জোটের উসকানির কারণেই হচ্ছে। ’
‘আমরা বিরোধী দলের ওপর হামলায় বিশ্বাসী নই। বিরোধী দলের ওপর হামলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানই আমদানি করেছেন। ’ যোগ করেন হাসান মাহমুদ।
নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হবে যাচ্ছে যেনে খালেদা জিয়া নানা অভিযোগ করছেন উল্লেখ করে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া ভালো করেই জানেন নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হতে যাচ্ছে। তাই আগেভাগে নানা কথা বলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, উত্তর জেলা সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
টিএইচ/টিসি