চট্টগ্রাম: নির্বাচন বানচাল ও কুক্ষিগত করতে সীতাকুণ্ড জুড়ে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা হামলা মামলার মাধ্যমে প্রার্থীবিহীন নির্বাচন আয়োজনের খেলায় মেতে উঠেছে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে নিজেদেরে ভরাডুবি আঁচ করতে পেরে সরকার দলীয় প্রার্থী সমর্থকদের একতরফা নির্বাচনের কুটকৌশল সফল হবেনা।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আসলাম চৌধুরী বলেন, গত দুদিনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপর হামলা করে তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে হামলা করে প্রেস ক্লাব ভাঙচুর করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন হামলাকারীকে গ্রেফতার করেনি প্রশাসন।
প্রার্থী ও প্রার্থীর লোকজন প্রশাসনে অভিযোগ দায়ের করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেনা অভিযোগ তিনি বলেন, এ অবস্থায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।
অবিলম্বে হামলা-মামলা বন্ধ করে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করে জনগণকে কেন্দ্রমুখী করা প্রশাসনের দায়িত্ব মন্তব্য করেন তিনি।
রির্টানিং অফিসারের কাছে দাখিল করা বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট তালিকা নিয়ে তাদেরকে দায়িত্ব পালন না করতে মোবাইলে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। মিথ্যা মামলার ভয় এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে তাদেরকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চলছে।
অভিযোগ করেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা না দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েছে শান্তিপুর্ণ নির্বাচন নিয়ে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার, ব্যানার ছিড়ে ফেলে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা।
সন্ত্রাসীরা দেশ ও জাতির শত্রু উল্লেখ করে তাদের অবৈধ কর্মকা- রুখে দাঁড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
‘হামলাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করলে জনগনের বিশ্বাসই সত্য বলে প্রমানিত হবে। নির্বাচন বানচালের সকল ষড়যন্ত্র ভেস্তে দেয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের। কিন্তু তারাই যদি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও কুক্ষিগত করে সরকার দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন সেক্ষেত্রে জনরোষে পড়ার সম্ভবনাই বেশী। ’
সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভাড়াটে মাস্তান এনে কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছে অভিযোগ করে আসলাম চৌধুরী বলেন, এরইমধ্যে সীতাকুন্ড পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
জনগন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদলীয় কিংবা একতরফা নির্বাচন হলে জনগণ তা প্রত্যাখান করবে এবং সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আস্থাহীনতা আরো বাড়বে। ভোটের আগেই ব্যালট বাক্স ভর্তির যে গুঞ্জন সীতাকুন্ডব্যাপী ছড়িয়ে গেছে তা মিথ্যা প্রমানিত করা নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের দায়িত্ব।
এই পরিস্থিতিতে পৌর নির্বাচনকে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এমইউ/টিসি