চট্টগ্রাম: নগরীতে স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের অভিযোগে বরখাস্ত ও গ্রেফতার হওয়া দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমাণ্ডে মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম রহমত আলী তাদের রিমাণ্ডে নেয়ার জন্য কোতয়ালি থানা পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন।
তিনজন হল, বরখাস্ত হওয়া সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও কনস্টেবল খান এ আলম এবং তাদের সোর্স আল আমিন। মিজানুর ও খান এ আলম কোতয়ালী থানার এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বাংলানিউজকে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) প্রিটন সরকার তিনজনকে পাঁচদিনের রিমাণ্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। আদালত শুনানি শেষে দুইদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন।
চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর কোতয়ালি থানার লাভ লেইন এলাকায় মেট্রোপোল কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ী হাজারি লেইনের লরিন জুয়েলার্সের মালিক দোলন বিশ্বাস বাদি হয়ে ২২ সেপ্টেম্বর কোতয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে দোলন বিশ্বাস উল্লেখ করেছেন, ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে তিনি হাজারি লেইনের দোকানের সামনে থেকে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে বিআরটিসি বাস স্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। অটোরিক্সা নিউমার্কেটের অদূরে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুলের সামনে পৌঁছার পর তিনজন গাড়ির গতিরোধ করে হ্যান্ডকাপ, ওয়াকিটকি ও পিস্তল দেখিয়ে সেখানে উঠে পড়ে। তারা নিজেদের র্যাব ও ডিবি’র পরিচয় দেয়। এরপর তারা দোলন বিশ্বাসকে লাভ লেইনে মেট্রোপোল কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এনে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১০২ ভরি ১০ আনা ৪ রত্তি ওজনের ৮টি স্বর্ণের বার ছিনতাই করে নেয়। একইসঙ্গে তারা দু‘টি নকিয়া মোবাইল সেট এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকাও ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এজাহারে ছিনতাই করা স্বর্ণের দাম ৩৬ লক্ষ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তে মিজানুর, খান এ আলম এবং আল আমিনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়ার পর ১৫ ডিসেম্বর তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
আরডিজি/আইএসএ/টিসি