জানা গেছে, বছরের প্রথম দিন সারাদেশে একযোগে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বিনামূল্যের বই। এবার জেলায় প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ী, মাধ্যমিক, দাখিল, এসএসসি ভোকেশনাল, দাখিল ভোকেশনাল মিলিয়ে ৬৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৭ বই বিতরণ করা হবে।
এরমধ্যে মাধ্যমিক, দাখিল, এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালের জন্য চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ হয়েছে ৪৯ লাখ ৫০ হাজার ২০৩ বই। আর প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৩৪ বই।
সূত্রমতে, এবার শিক্ষাবোর্ড থেকে বইগুলো সরাসরি উপজেলায় পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তালিকা অনুযায়ী স্ব-স্ব বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোন ধরণের বই সংকট নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রমতে, জেলায় মাধ্যমিক, দাখিল, এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালে এবার বইয়ের চাহিদা ৪৯ লাখ ৫০ হাজার ২০৩টি। যা গেল বছরের তুলনায় ৭ লাখ বেশি। গেল বছর বইয়ের চাহিদা ছিল ৪২ লাখ।
এবার চাহিদা অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে বই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ করা বইয়ের মধ্যে বাংলা মাধ্যমে ২৭ লাখ ৯ হাজার ৬৮৫, দাখিলে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১০৭, ইবতেদায়ীতে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৮২২, ইংরেজি মাধ্যমে ৪ হাজার ৮৯৭, এসএসসি ভোকেশনালে ১২ হাজার ৮৮২ ও দাখিল ভোকেশনালে ১ হাজার ৭১০ বই।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রমতে, প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে এবার বইয়ের চাহিদা ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৩৪। যা গেল বছরের তুলনায় ১ লাখ ৪২ হাজার ৫১৪ বেশি। গেল বছর বইয়ের চাহিদা ছিল ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫২০টি।
এবার চাহিদা অনুযায়ী সদর উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ২৫০, রামুতে ২ লাখ ৩ হাজার ১৬০, চকরিয়ায় ৩ লাখ ৬০ হাজার, পেকুয়ায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯০০, কুতুবদিয়ায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯৫, মহেশখালীতে ২ লাখ ৪৬ হাজার, উখিয়ায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ ও টেকনাফে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৮৫ বই।
আর আপদকালীন সময়ে বিতরণের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৬ হাজার ৬৪৪ বই।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ বি এম ছিদ্দিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সঠিক সময়ে বইগুলো বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছে। কোন ধরনের বই সংকট নেই। বছরের প্রথমদিন উৎসবমুখর পরিবেশে বই উৎসব করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রামমোহন সেন বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে বই নিয়ে যাবে। জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদরা ছেলেমেয়েদের উৎসাহিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘন্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
টিটি/আইএসএ/টিসি