টেম্পুতে হেলপার হিসেবে আবিষ্কার হওয়া এই চরিত্র সবেমাত্র চতুর্থ শ্রেণিতে ওঠা রাকিব। চলতি বছরে রাকিব ওই শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন নগরীর অক্সিজেনের সৈয়দপাড়া এলাকায় স্বপ্না পাবলিক স্কুলে।
একজন শিক্ষার্থীর রুটিন যেখানে হয়, সকালে উঠে মুখ হাত ধুয়ে নাশতা করে পড়তে বসা।
পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে পড়ালেখার পাশাপাশি টেম্পুর হেলপার হিসেবে কাজ করছে বলে জানায় সে। পড়ালেখা শেষ করে পুলিশের একজন বড় অফিসার হওয়ার স্বপ্ন বুনছে এই্ রাকিব।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) নগরীর অক্সিজেনে একটি টেম্পুতে বাংলানিউজের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে রাকিবের কথা হয়।
সে জানায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অক্সিজেনের সৈয়দ পাড়া এলাকায় স্বপ্না পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়েছে। নগরীর আমতলের একটি বস্তিতে পরিবারে বাবা-মা ও এক বড় ভাইসহ থাকেন। বাবা রিকশা চালান আর মা গার্মেন্টসে ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। ভাই সাকিব স্খানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ছেন।
সে আরও জানায়, দিনে কাজ করলেও সন্ধ্যায় বাসায় চলে যায়। বাসায় গিয়ে তার পড়ালেখা চালিয়ে যায়। পড়ালেখা শেষ করে পুলিশের একজন বড় অফিসার হওয়ার স্বপ্ন তার।
তবে এই রাকিব কি হতে পারবে পুলিশের অফিসার। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের অনেকাংশ ছাত্র মাঝপথেই ঝরে পড়ে পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে। হয়তো রাকিবের মত আরও অনেক শিশু এভাবেই পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু মাঝপথে টাকার জন্য ঝরে যাওয়ার কারণকে কে ঠেকাবে?
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
জেইউ/টিসি