ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্কুলে শতভাগ বই, অপেক্ষা শিক্ষার্থীদের হাত ছোঁয়ার

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
স্কুলে শতভাগ বই, অপেক্ষা শিক্ষার্থীদের হাত ছোঁয়ার নতুন বই। ছবি: উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: নগরীসহ চট্টগ্রাম জেলার ২০ শিক্ষা থানার ১ম থেকে নবম শ্রেণির চাহিদার প্রায় শতভাগ বই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পৌঁছেছে। অন্যান্য বছর বছর শেষ হওয়ার পরেও পাঠ্যপুস্তক আসতে দেরি হলেও এবার স্কুলে স্কুলে আগেভাগেই পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে যাওয়ায় স্বস্তিবোধ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
 

২০১৮ সালের জন্য প্রাথমিকের ৪ হাজার ৭২৫টি স্কুলে প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণিতে বইয়ের চাহিদা ছিল ৫১ লাখ ৩৬৬টি এবং মাধ্যমিকে (ইংরেজি ও বাংলা ভার্সনে) ১ হাজার ১৬৯টি স্কুলের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৯২ শিক্ষার্থীর জন্য চাহিদা ছিল ১ কোটি ৮৭ লাখ ২ হাজার ৫৭৫টি পাঠ্যপুস্তক।
 
বছর শেষ হওয়ার আগেই চাহিদা অনুযায়ী স্কুলে স্কুলে শতভাগ পাঠ্যপুস্তক পৌঁছানোর কথা জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, ১ম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩টি এবং তৃতীয় থেকে ৫ম শ্রেণিতে ৬টি বিষয়ে এবার ৫১ লাখ ৩৬৬টি পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা ছিল।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাঠানো চাহিদাপত্র অনুসারে নগরীর ৬টি থানা ও চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার ৪ হাজার ৭২৫টি স্কুলে পৌঁছে গেছে। হাটহাজারী, রাউজান, চান্দগাঁও ও চন্দনাইশ থানায় কিছু পাঠ্যপুস্তক বছরের শেষ দিন পৌঁছালেও অন্যান্য থানাগুলোতে আগেভাবেই চাহিদা অনুযায়ী হাতে পায়।
অপেক্ষা এখন বই উৎসব পালনের। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়াটা সরকারের ইতিবাচক সাফল্য।

স্কুলে শতভাগ বই, অপেক্ষা শিক্ষার্থীদের হাত ছোঁয়ার।  ছবি: উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজ
 
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৬টিসহ চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার ৪ হাজার ৭২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাহিদা ছিল ৫১ লাখ ৩৬৬টি পাঠ্যপুস্তকের। এরমধ্যে কোতোয়ালীতে ২ লাখ ২৩ হাজার ৩২৬টি, পাঁচলাইশে ২ লাখ ৯৮ হাজার ২০০টি, চান্দগাঁওয়ে ৩ লাখ ১২ হাজার ৯০০টি, ডবলমুরিংয়ে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫টি, পাহাড়তলীতে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০টি, বন্দরে ৩ লাখ ৮ হাজার ১০০টি, বাঁশখালী উপজেলায় ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০টি, রাউজানে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫০, সন্দ্বীপে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮০টি, ফটিকছড়িতে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৫টি, পটিয়ায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭০০টি, আনোয়ারায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০টি, বোয়ালখালীতে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬০০টি, লোহাগাড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৮০০টি, চন্দনাইশে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪৮০টি, হাটহাজারীতে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪৫টি, রাঙ্গুনিয়ায় ২ লাখ ৩৯ হাজার ৭১৫টি, মিরসরাইয়ে ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৬০টি, সীতাকুণ্ডে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯৫০টি ও সাতকানিয়া উপজেলায় ২ লাখ ৫২ হাজার ৬০০টি পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা ছিল।
 

স্কুলে শতভাগ বই, অপেক্ষা শিক্ষার্থীদের হাত ছোঁয়ার।  ছবি: উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজ
অন্যদিকে, একইভাবে মাধ্যমিকে পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী প্রায় শতভাগ পাঠ্যপুস্তক পৌঁছানোর কথা জানিয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে আরা বাংলানিউজকে জানান, ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ১ হাজার ১৬৯টি স্কুলের ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৯২ শিক্ষার্থীর জন্য এবার অধিদফতরে ১ কোটি ৮৭ লাখ ২ হাজার ৫৭৫টি পাঠ্যপুস্তকের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছিল। চাহিদা অনুযায়ী নগরীসহ চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানায় বই পৌঁছানো হয়েছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিতে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন প্যঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হবে।

স্কুলে শতভাগ বই, অপেক্ষা শিক্ষার্থীদের হাত ছোঁয়ার।  ছবি: উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজ
 
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের জন্য মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজী ভার্সনে) ৬ষ্ঠ শ্রেণির ২ লাখ ৮ হাজার ৬৮৪ শিক্ষার্থীর চাহিদা ছিল ২৯ লাখ ৬২ হাজার ৪৬১টি, সপ্তম শ্রেণির ১ লাখ ৯২ হাজার ৪১১ শিক্ষার্থীর চাহিদা ছিল ২৬ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬৪টি, অষ্টম শ্রেণির ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৩৭ শিক্ষার্থীর চাহিদা ছিল ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯০৮টি, নবম শ্রেণির ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪০ শিক্ষার্থীর চাহিদা ছিল ২৬ লাখ ১৫ হাজার ৫৭২টি, এসএসসি (ভোকেশনাল) ৯ম শ্রেণির ৫ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থীর চাহিদা ছিল ৭৬ হাজার ৮৫০টি এবং কারিগরি ট্রেড বই (এসএসসি/দাখিল) ৫ হাজার ৪২০ শিক্ষার্থীর জন্য ৩৪ হাজার ২২০টি পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা ছিল।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।