ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বছরজুড়ে আলোচনায় চসিকের ‘গৃহকর’

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
বছরজুড়ে আলোচনায় চসিকের ‘গৃহকর’ চসিকের গৃহকর আপিল শুনানিতে অংশ নেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে ২০১৭ জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সিটি করপোরেশনের ‘গৃহকর’।

মামলা, সভা-সমাবেশ-মিছিল, করদাতা সুরক্ষা পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন, সংবাদ সম্মেলন, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মনজুর আলম ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের চিঠিসহ নানা কর্মসূচিতেও শেষপর্যন্ত অনড় অবস্থানে ছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

দফায় দফায় মতবিনিময়, পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের যৌক্তিকতা তুলে ধরাসহ আপিল নিষ্পত্তির মাধ্যমে করদাতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষমও হয় প্রতিষ্ঠানটি।

৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টিতে গৃহকর, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও আলোকায়ন মিলে ১৪ শতাংশ এবং বাকি ওয়ার্ডগুলোতে ১৭ শতাংশ ধার্য করা হলেও আপিলে বছরে সর্বনিম্ন ৫১ টাকা কর নির্ধারণ করা হয় অনেক হোল্ডিং মালিকের।

বর্তমান মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর চসিকের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আইনি বাধ্যবাধকতায় পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের কাজ শুর ‍করেন।

শেষ হয় ২০১৭ সালের আগস্টে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর আপিল আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হয়। ওই সময় আপিল জমা পড়ে ৩২ হাজার ৭৯৬টি। পরে কয়েক দফা আপিল আবেদনের সময় বাড়ালে ৬৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে।

২৯ অক্টোবর আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিন ১ কোটি ৫৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকার অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালুর ওপর শুনানি শেষে তা নেমে দাঁড়ায় ৪৮ লাখ ১৫ ‍হাজার টাকা।

সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভায় দেশের সব সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগকে অটোমেশনের আওতায় আনা পর্যন্ত কর পুনর্মূল্যায়ন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলে চসিক পরদিন আপিল শুনানি স্থগিত করে। এরপর আগের অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী হাল কর ও বকেয়া আদায়ে সচেষ্ট হয় প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানের কাছে চসিকের বকেয়া কর আদায়ের জন্য চিঠি চালাচালি শুরু করে চসিক। ৩২ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চসিকের গৃহকর ও রেইট বাবদ পাওনা ১৪২ কোটি ৪৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৭ টাকা।  

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বাংলানিউজকে বলেন, গৃহকর ও রেইটই চসিকের ‘অক্সিজেন’ এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বছরজুড়ে অ্যাসেসমেন্ট, আপিল ইত্যাদি নিয়ে আমরা ব্যস্ত ছিলাম। চসিকের রাজস্ব থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পরিচ্ছন্নতা, খাল খননসহ রুটিনকাজ পরিচালিত হয়। তবে চসিক আইন ও বিধি অনুযায়ী পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়ন করেছে। কিছু ভুল বোঝাবুঝি, অস্বস্তি বা অজানা আতঙ্ক ছিল। আপিলের মাধ্যমে হোল্ডিং মালিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছিল। সর্বশেষ অটোমেশনের জন্য অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রমই স্থগিত রেখে আগের মতো করে গৃহকর ও রেইট আদায় করা হচ্ছে।

তিনি আশা করেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত অটোমেশন পদ্ধতি দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।