এ বিষয়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বাংলানিউজকে বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সে অনুযায়ী যেসব প্রার্থী আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাননি, তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে প্রদত্ত বৈধ ভোট ৩ লাখ ৪ হাজার ৪০৮টি। আসনটিতে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৫ জন।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে প্রদত্ত বৈধ ভোট সংখ্যা ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪২টি। আসনটিতে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন-ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছৈয়দ হাফেজ আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মঈন উদ্দীন রুহী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মীর ইদরীস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ রফিক, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. নঈমুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নাসির উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের শিহাবুদ্দীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে প্রদত্ত বৈধ ভোট ৩ লাখ ৪১ হাজার ১৯২টি। বোয়ালখালীতে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন-বিএনএফের এসএম ইকবাল হোসেন, ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ডা. মো. ফরিদ খান, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির মো. সেহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মোহা্ম্মদ আবদুস সামাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক ও হাসান মাহমুদ চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে প্রদত্ত বৈধ ভোট সংখ্যা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪৯টি। এর মধ্যে বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৪২। একই আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির মৃণাল চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক, জাতীয় পার্টির মো. মোরশেদ সিদ্দিকী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. শেখ আমজাদ হোসেন জামানত হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে প্রদত্ত বৈধ ভোট ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭১৫টি। সেখানে ধানের শীষের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমানের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩৯০। একই আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কাজী মো. ইউসুফ আলী চৌধুরী, বিএনএফের জিএসএম আতিউল্লাহ ওয়াসীম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জান্নাতুল ইসলাম, বাসদের মো. মাহিন উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা খাতুন, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মারুফ জামানত হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে ৫ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। ওই আসনে প্রদত্ত বৈধ ভোট ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৮টি। আসনটিতে জামানত হারিয়েছেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অপু দাশ গুপ্ত, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. লোকমান সওদাগর ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
এসইউ/এসি/টিসি