শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের ৩৮নং দক্ষিণ মধ্য হালিশহর ওয়ার্ডের বেগমজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রধান তিনি এ মন্তব্য করেন।
সুজন বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন রাজনৈতিক মহীরুহ।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে লালদীঘির মাঠে জনসভার ডাক দেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। ধারাবাহিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে পাগলের অভিনয় করে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে পালিয়ে যান ভারতে। ভারতের উত্তর প্রদেশে প্রশিক্ষণ শেষে ‘মাউন্ট ব্যাটালিয়ন’র প্লাটুন কমান্ডার নিযুক্ত হন তিনি।
‘১৯৯৪ সালে চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রার্থী হয়েই বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি। ১৯৯৬ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি সরকারের পতন ঘটিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নগরের পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে মনোনিবেশ করে সফল হন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
স্মরণ সভা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ কামরুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সালাউদ্দিন মামুনের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নূরুল আলম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্য আফরোজা কালাম, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইলিয়াছ।
বক্তব্য দেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ, মো. এজাহার মিয়া, আব্দুল হাকিম মেম্বার, এসএম আবু তাহের, হাজী মো. হোসেন, শের আলী সওদাগর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
এমএম/এমআর/টিসি