ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দরের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সহযোগী হতে চায় ভারত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
বন্দরের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সহযোগী হতে চায় ভারত চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার

চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের উন্নয়ন, আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে সহযোগী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান।

 

বন্দর চেয়ারম্যান বাংলানিউজকে বলেন, বন্দর ভবনের বোর্ড রুমে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের সাহায্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান সক্ষমতা, বাস্তবায়নাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, বে টার্মিনালসহ আগামী দিনে বন্দরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরি আমরা। হাইকমিশনার বন্দরের উনয়ন, আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পগুলোতে সহায়তার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

 

মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বাবার অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সর্বাত্মক সহযোগিতা ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ভারত। প্রতিবেশী এ দুই দেশ ও জনগণের কল্যাণ, লাভ বিবেচনায় কানেকটিভিটির উন্নয়নে ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।  

কলকাতা-চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে সড়কপথে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে ট্রান্সশিপমেন্ট কার্গো চালানের কনটেইনারগুলোর সফল পরিবহনের জন্য হাই কমিশনার সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।  

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার

বন্দর চেয়ারম্যান এ সময় হাই কমিশনারকে ক্রেস্ট উপহার দেন। এরপর দুপুরে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ২ ও ৩ নম্বর জেটি পরিদর্শন করেন।  

এ সময় বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান, টার্মিনাল ম্যানেজার মো. কুদরত-ই-খুদা, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, এনসিটির দায়িত্বে থাকা দেশের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের সিওও ক্যাপ্টেন তানভীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ক্যাপ্টেন তানভীর অতিথিকে ১৪টি কি গ্যান্ট্রি ক্রেনের সাহায্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন নতুন হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় অবহিত করেন।

হাইকমিশনার জোয়ার-ভাটা নির্ভর বন্দরের সুবিধা-অসুবিধা, জাহাজের গড় অবস্থান সময়, বেশিরভাগ কনটেইনারের গন্তব্য ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।