ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শিক্ষাবৃত্তি ও কোয়ারেন্টিনের সাড়ে ৫ কোটি টাকা বিতরণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
শিক্ষাবৃত্তি ও কোয়ারেন্টিনের সাড়ে ৫ কোটি টাকা বিতরণ ...

চট্টগ্রাম: প্রবাসী কর্মীদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি ও কোভিডকালীন সৌদি আরবগামী কর্মীর পরিবারের হোটেল কোয়ারেন্টিন খরচ বাবদ সাড়ে ৫ কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ ১২১ জন মেধাবী সন্তানকে জনপ্রতি ২৭ হাজার ৫০০ টাকা করে ৩৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা ও কোভিড-১৯ চলাকালীন চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার সৌদি আরবগামী ২ হাজার ৩৩ জন কর্মীর পরিবারকে হোটেল কোয়ারেন্টিন ভর্তুকি বাবদ জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী ‘মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলার (১৭-২৩ মার্চ) ৫ম দিনে সোমবার (২১ মার্চ) এসব চেক বিতরণ করা হয়।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চেক বিতরণ করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) মুশাররাত জেবীন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার।  

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. নাজমুল হক ও সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল হক। চেক গ্রহীতার পক্ষে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী আশফিয়া কানিজ নিহা ও প্রবাসী পরিবারের সদস্য মো. আবু তাহের। ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডের অর্থায়নে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহযোগিতায় চেক বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলার ৬২৩ জন সৌদি আরবগামী কর্মীর পরিবারকে হোটেল কোয়ারেন্টিন খরচ বাবদ ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ও প্রবাসী কর্মীর ৩৭ জন মেধাবী সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি বাবদ আরও ৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা চেকমূলে দেওয়া হয়েছে।

মুশাররাত জেবীন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে জেলা জনশক্তি-কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরো ও ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ দেশ থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশ্বের কোন্ কোন্ দেশে কর্মী পাঠানো যায় সে লক্ষ্যে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। বিদেশে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে। অসুস্থতার গুরুত্ব বুঝে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ সরকারিভাবে দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রবাসে কেউ মারা গেলে তাদের মরদেহ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ নিজ এলাকায় নিয়ে যেতে কারও সামর্থ্য না থাকলে তাদের জন্য ফ্রি অ্যাম্বুল্যান্স সেবা দেওয়া হয়। মরদেহ দাফন বা সৎকারের জন্য সর্বোচ ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বৈধভাবে বিদেশগমনকারী মৃত কর্মীর পরিবারকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।  

তিনি বলেন, প্রবাসী কর্মীর প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করেছেন। কোনো প্রবাসীর জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও অন্যান্য সমস্যা থাকলে তা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধভাবে বিদেশে গিয়ে ফেরত আসছে তাদের পাশে রয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। প্রবাসে সমস্যাগ্রস্ত নারী কর্মীদের সেফ হোমে আশ্রয় প্রদানসহ প্রয়োজনে নিরাপদে দেশে আনতে সহায়তা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।