আগরতলা (ত্রিপুরা): ক্যালেন্ডার অনুসারে এখন চলছে বসন্ত। গ্রীষ্ম আসতে আরও কিছুদিন বাকি।
আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুসারে ইতোমধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ পৌঁছে গেছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পূর্বাভাস বলছে, তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তা আরও ২ ডিগ্রি বেড়ে ৩৯ ডিগ্রিতে পৌঁছাবে।
আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছাবে বলেও পূর্বাভাস। বৃষ্টি না হওয়া এই অবস্থাকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।
প্রবল সূর্যের তাপ আর বৃষ্টি না হওয়ার কারণে গরম সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করে তুলেছে। যদি এর মধ্যে বৃষ্টি না হয়, তাহলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে কোনো আশার বাণী শোনাতে পারছে না আবহাওয়া দপ্তর। আগামী শনিবার পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যে কোনো বৃষ্টিপাতের আভাস নেই, এমনটি বলা হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে মানুষের ঘরে থাকাই কষ্টকর হয়ে উঠবে।
গরমের কারণে সকাল ১০টা বাজতেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। নেহাত প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না। আর যারা বের হচ্ছে, তারা টুপি-ছাতা হাতে নিয়ে বের হচ্ছে।
এই গরমে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হলেও খুশি ঠান্ডা পানীয়, শরবত ও ডাব বিক্রেতারা। কারণ গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে এসব ঠান্ডা পানীয়ই তাদের একমাত্র ভরসা। রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন জায়গায় ফুটপাতে বিক্রেতারা ডাব নিয়ে বসেছেন। ন্যূনতম ৩০ রুপি থেকে শুরু করে ৬০ এমনকি ৭০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে এক একটি ডাব।
ডাব বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমের কারণে ডাবের বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। চাহিদা বেশি, দামও সামান্য বেশি।
ডাব কিনতে আসা ক্রেতাদের বক্তব্য সুযোগ বুঝে অনেক বেশি দাম রাখছেন বিক্রেতারা। তারপরও বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এইসব ঠান্ডা পানীয় কারণ গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে এগুলোই এখন একমাত্র ভরসা।
তীব্র গরমের কারণে সানস্ট্রোকের প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়, তাই এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলার। আর যদি জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে হয়, অবশ্যই সঙ্গে ছাতা ও পানির বোতল সঙ্গে রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
এসসিএন/আরএইচ