ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পৌষ মেলায় বাজি প্রদর্শনী নিয়ে আদালতে বিশ্বভারতী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৬

ঐতিহ্য আর পরিবেশ দূষণ-এই সংঘাতের মধ্যে আদালতের দরজায় হাজির হচ্ছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলায় বাজি পোড়ানোর ফলে সেখানকার...

কলকাতা: ঐতিহ্য আর পরিবেশ দূষণ-এই সংঘাতের মধ্যে আদালতের দরজায় হাজির হচ্ছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।  

শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলায় বাজি পোড়ানোর ফলে সেখানকার পরিবেশ দূষণ হচ্ছে বলে পরিবেশ আদালতের কাছে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত।

আদালত এ অভিযোগ আমলে নিয়ে রায় দেন শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলায় বাজি পোড়ানো চলবে না। আদালত আরও বলেন, শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। সেখানে শিল্পকর্মের স্টল ছাড়া কোনো স্টল দেওয়া যাবে না।  

আদালতের এ নির্দেশের ফলেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আদালতের কাছে ঐতিহ্য মেনে বাজি পোড়ানোর বিষয়টিতে ছাড় দেবার আবেদন করতে চলেছে।

প্রবীণ আশ্রমিকরা জানালেন, ১৮৯৩ সালে শান্তিনিকেতনে উপাসনা গৃহ বা কাঁচ মন্দির তৈরি হয়। তখন থেকেই বাজি প্রদর্শনীর প্রথা চলে আসছে। ১৮৯৪ সাল থেকে শুরু হয় পৌষ মেলা ।  

জানা গেছে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর দু’জনেই এই বাজি প্রদর্শনী পছন্দ করতেন। তবে ঐতিহ্য আর পরিবেশ! কোনটি প্রাধান্য পাবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।  

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আদালতের কাছে তারা দূষণহীন বা কম দূষণ হয় এমন আতশবাজি ব্যবহারের আবেদন জানাবেন।  

আদালতের রায় মেনেই পৌষ মেলা করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
এসএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।