পরমব্রত স্বয়ং এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমাদের প্রজন্ম ফেলুদার গল্প পড়ে বড় হয়েছে। আমাদের মনপ্রাণ জুড়ে রয়েছে ফেলুদা।
বাংলাদেশে টেলিভিশন সিরিজ হওয়ায় ভারতীয় দর্শকরা পরমব্রতর গোয়েন্দাগিরি থেকে বঞ্চিত থাকবেন।
এ বিষয়ে সত্যজিত রায়ের ছেলে সন্দীপ রায় বলেন, সেটা ঠিক। এ দেশের মানুষ টেলিভিশনে সিরিজটি দেখতে পাবেন না। অবশ্য, এখন ইন্টারনেটের যুগ। তাই ইউটিউব বা অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পেয়ে যেতে পারেন ‘বাংলাদেশে ফেলুদা’।
ভারতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শশী কাপুর, সব্যসাচী চক্রবর্তী, আবির চট্টোপাধ্যায়ের পর পরমব্রত হলেন পঞ্চম ব্যক্তি, যিনি ফেলুদা হতে চলেছেন। হিন্দিতে ফেলুদাকে নিয়ে কাজ হয়েছে। বরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায় জীবিত থাকাকালীন বিভাস চক্রবর্তী বাংলায় ফেলুদার গল্প নিয়ে টেলিসিরিজ তৈরি করেছিলেন। তারপর যা কাজ হয়েছে, সবকটারই পরিচালনা করেছেন সন্দীপ রায়।
এই প্রথম কলকাতার বিশপ লেফ্রয় রোডের রায় পরিবারের বাইরের কেউ ফেলুদার কাহিনি পর্দায় আনছেন। ফেলুদা গল্পের স্বত্বাধিকারী সন্দীপ রায়ের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশের শাহরিয়ার শাকিল ফেলুদার ২০টি গল্প নিয়ে বাংলাদেশে টেলিসিরিজ তৈরি করছেন। ফেলুদার সবকটি গল্পের স্বত্বই কিনে নিয়েছেন শাহরিয়ার। টেলিভিশন এবং ডিজিটাল স্বত্বও নিয়েছেন তিনি। ক্যান্ডি প্রোডাকশন্স লিমিটেডের তরফে সিরিজটি প্রযোজনা করছেন জিয়াউদ্দিন আদিল ও শাহরিয়ার শাকিল।
ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে থাকবেন গাউসুল আলম শাওন। চিত্রনাট্য পদ্মনাভ দাশগুপ্ত ও গাউসুল।
ক্যান্ডি প্রোডাকশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার শাকিল বলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে আমরা ফেলুদার অফার দিয়েছিলাম। উনি সানন্দে রাজি হয়েছেন। ‘শেয়াল দেবতার রহস্য’ আর ‘ঘুরঘুটিয়ার ঘটনা’ এই দু’টি গল্প নিয়ে শ্যুটিং শুরু হচ্ছে। খুব শিগগিরই সন্দীপ রায়ও বাংলাদেশে আসছেন।
অবশ্য, সত্যজিৎ পুত্র জানালেন, তার বাংলাদেশে যাওয়ার ব্যাপারটা এখনও পুরোপুরি স্থির হয়ে ওঠেনি। শুধু টেলিভিশনের জন্য ফেলুদার স্বত্ব শাহরিয়ার শাকিলকে দেওয়া হয়েছে।
পদ্মাপাড়ের মানুষ যে এবার টিভির সামনে বসে ফেলু মিত্তিরের রহস্য উন্মোচন এবং জটায়ু ও তোপসের কাণ্ডকারখানা দেখতে পাবেন, এজন্য তিনি খুশি।
তবে বাংলাদেশের চ্যানেল ভারতে না আসার ফলে ফেলুদা টেলিসিরিজ থেকে একপ্রকার বঞ্চিত থাকবে থাকবে পশ্চিমবাংলা বাসী। সে আক্ষেপ থেকেই যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এসএস/এসএনএস