একদিকে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ, অন্যদিকে বিরোধী প্রার্থী মীরা কুমার। দেশের সবকটি রাজ্যের বিধানসভায় কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারতের ভাবী রাষ্ট্রপতির ভোট।
প্রাক্তন রাজ্যপাল কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনীত করে প্রথমেই মাস্টার স্ট্রোক খেলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দলিত সম্প্রদায় থেকে বিজেপি যে প্রার্থী নিতে চলেছে, তার আভাস মিললেও নামটি সম্পর্কে মোটেই অবগত ছিলেন না বিরোধীরা। বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন তারা।
তবে এ নিয়ে কোনও সন্দেহ প্রথম থেকেই নেই যে, মোদি যাঁকেই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করুন না কেন, জয়ের পাল্লা তাঁর দিকেই ঝুকে থাকবে। কাজেই রামনাথ কোবিন্দ প্রথম থেকেই ফেভারিট। বিরোধী পক্ষ যদি আগেভাগে মীরা কুমারের নাম ঘোষণা করতো, তাহলে কী হতো তা বলা মুশকিল।
রাষ্ট্রপতি ভোটে ভারতে ভোটার সংখ্যা মোট ৪ হাজার ৮৯৬ জন। এই জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ৪ হাজার ১২০ জন বিধায়ক এবং ৭৭৬ জন সংসদ সদস্য। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে ৫৫ জন সংসদ সদস্য ভোট দেবেন, তাঁদের মধ্যে সিংহভাগই তৃণমূল কংগ্রেসের। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে প্রায় কোনো ভোটই কোবিন্দের ঝুলিতে পড়ছে না তা স্বয়ং মোদিও জানেন। গোটা ভোট প্রক্রিয়াটাই সম্পন্ন হবে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে। কোনও দলই এ ব্যাপারে কোনও সদস্যের উপরে হুইপ জারি করতে পারবে না।
রাষ্ট্রপতির পদে প্রত্যেক প্রার্থীর মনোনয়নের জন্য ৫০ জন প্রস্তাবক এবং ৫০ জন সমর্থক প্রয়োজন। সোমবার কোনও ভোটকেন্দ্রেই সংসদ সদস্য ও বিধায়করা কলম নিয়ে ভোট কেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করতে পারবেন না। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছেন ভারতের নির্বাচন কমিশন। বিশেষ মার্কার দিয়ে ব্যালট পূরণ করতে হবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ভারতের প্রতিটি
রাজ্যসভা ও সংসদ ভবনে।
সবকিছু ঠিক থাকলে মোদির প্রার্থী হেলায় জয়লাভ করতে চলেছেন। অন্যদিকে, গোটা সমীকরণটা বুঝে প্রথম থেকেই বিবেক ভোটের ডাক দিয়ে রেখেছেন প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ১৭ জুলাই, ২০১৭
আরআই