ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মমতার বিদেশ সফর নাকচ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
মমতার বিদেশ সফর নাকচ

কলকাতা: আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ সফর নাকচ করে দিল ভারত সরকার।  

শনিবার (২৫ সেপ্টম্বর) মমতার আসন্ন রোম সফরে অনুমতি দিল না ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

ইতোমধ্যেই রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের অনুমোদন বাতিলের কথা জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। তবে ঠিক কী কারণে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত তা এখনও জানা যায়নি।

গত ১১ আগস্ট বিশ্ব শান্তি বৈঠকের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য আগামী ৬ ও ৭ অক্টোবর রোমে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাকে। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা রোমের কমিউনিটি অফ সন্ত এগিডিও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল ও মিশরের ইমাম আহমেদ আল তায়িব। এছাড়া ইটালির শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও চার্চের গন্যমান্য প্রতিনিধিদের।

এর আগেও আমেরিকার শিকাগোয় একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও যেতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবারও বিদেশ সফরে অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। নিয়ম মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিদেশের কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের অনুমতি লাগে। এবারও নিয়ম মেনে বিদেশমন্ত্রকের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোম সফরের অনুমতি চেয়েছিলেন। তবে সেই আবেদনকে মান্যতা দিল না মোদী সরকার। ফলে শিকাগোর পর এবার বাতিল করা হল মমতার রোম সফর।

প্রসঙ্গত, কমিউনিটি অফ সন্ত এগিডিও-র সভাপতি প্রফেসর মার্কো ইমপ্যাগলিয়াজো, মমতার চিঠিতে লিখেছিল, 'গত ১০ বছর ধরে রাজ্যের উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায় এবং শান্তিবজায় রাখার ক্ষেত্রে আপনার অবদান অসামান্য। সমাজের পিছিয়ে পড়া, দুর্বলতম অংশের জন্য আপনার কাজ কমিউনিটি অফ সন্ত এগিডিও নজরে এসেছে। হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। '

পাশাপাশি তাদের কাজ সমন্ধেও উল্লেখ করে বলেছিল-সামাজিক ন্যায়, বিশ্ব শান্তি, ভ্রাতৃত্ববোধ, দুস্থদের সাহায্য ও অসহায়দের হয়ে কাজ করে কমিউনিটি অফ সন্ত এগিডিও। কয়েক দশক ধরে এই লড়াই চলছে। আটের দশকের দ্বিতীয় ভাগ থেকে এই সংগঠনের ‘পিপলস অ্যান্ড রিলিজিয়ন’ বিভাগ বিশ্বের সব ধর্মগুরু এবং ক্রিশ্চান চার্চের মধ্যে নিয়মিত আলোচনার আয়োজন করে। এর সঙ্গে ক্রমেই যুক্ত হন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। বিশ্বজুড়ে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠাই এর মূল উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।