মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্রে চলতি অর্থ বছরের ১৭তম চা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রের অস্থায়ী কার্যালয় জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের হলরুমে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয় বিটিআরআই বাগানের চা, যার প্রতি কেজির বাজার মূল্য ছিল ৩৪০ টাকা।
এছাড়া সাবারি টি প্লান্টেশন এর গ্রিন টি প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৯৬০ টাকায়। নিলামে শ্রীমঙ্গলের ৪টি ব্রোকারস হাউজের অধীনে প্রায় ৪৫ জন বায়ার অংশগ্রহণ করে।
এতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১৮১ কেজি চা পাতা নিলামে ওঠে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২ কোটি ৮৬ লাখ ৩৬ হাজার ২২০ টাকা।
এর আগে, ১৬তম নিলামে ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৪.৩০ কেজি চা পাতা নিলামে উঠলেও বিক্রি হয় ৪৪ হাজার ৫৩১.১০ কেজি। এর মূল্য ছিল ৮১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫৮.২৮ টাকা। গড় বিক্রি মূল্য ছিল ১৮৩.৫৬ টাকা প্রতি কেজি। বায়ার মনিরুল ইসলাম বলেন, গত নিলাম থেকে ভালো ভালো চায়ের দাম অনেক বেশি গেছে, গুণগত মান এখন তেমন খারাপ না। ভালোই রয়েছে।
ঢাকা থেকে চা পাতা নিতে আসা বায়ার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ঢাকা থেকে এখানে আসছি, চায়ের নিলামে। আমরা একটা চায়ের বিজনেস চালু করেছি। এখানে ১০০ ধরনের চা রয়েছে, চায়ের ধরন ও কোয়ালিটি দেখে বোঝা যায় এখানে উন্নত ধরনের চা পাতা রয়েছে। আমাদের চায়ের বর্তমান বাজারমূল্য অন্যান্য দেশের তুলনায় কমই রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের তুলনায়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটু বেশি। তাছাড়া চায়ের ধরন অনুযায়ী সব দামেরই চা পাতা এখানে পাওয়া যায়। আমরা কিনতে আসছি তবে, চায়ের দাম আগের তুলনায় একটু বেশি। তাছাড়া আমাদের বাংলাদেশে চায়ের গুণগতমান অনেক অনেক ভালো। বাংলাদেশের চা বাহিরেও রপ্তানি হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ জানান, ১৭তম চা নিলামে ১ লাখ ৪৩ হাজার কেজির ওপরে চা অপারিং হয়েছে। ভালো চা পাতা রয়েছে, তার দামও বেশি। আজকে এ চায়ের বাজারদর গড় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার ওপরে। ভালো চায়ের চাহিদা বেশি। আজকে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয় বিটিআরআই বাগানের চা, এর প্রতি কেজি বাজারমূল্য ছিল ৩৪০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, বাগান থেকে যদি এখানে ভালো চা পাতা অপারিং করা হয় তাহলে ভালো দাম পাওয়া যাবে।
পঞ্চগড়ের চা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের চা পাতা আমাদের এখানে খুব কম অপারিং হয়। কোনো সময় বিক্রি থাকে আবার কোনো কোনো সময় থাকে না। পঞ্চগড়ের চায়ের তুলনায় আমাদের সিলেটের চায়ের চাহিদা বেশি এবং পঞ্চগড়ের চায়ের লিকার কম থাকায় এখানে বাজার তেমন একটা ওঠে না। যদিও ওদের চা উৎপাদন বেশি কিন্তু বাজারে চাহিদা কম।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
বিবিবি/এএটি