ঢাকা: হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ২০২১ সালে ১০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছিল সরকার। দুই বছরে এ টাকা বিতরণ হয়নি।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আধুনিক সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে ১০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়। যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের বিতরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে থেকে বিতরণকৃত ঋণের সমপরিমাণ টাকা নেবে। ঋণের সুদ হার মেট্রোপলিটন অঞ্চলে ৫ শতাংশ, মেট্রোর বাইরে হবে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
ঋণের গ্রেস প্রিয়ড এক বছর। আর পরবর্তী ৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। ঋণ বিতরণের সময় ছিল ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এ সময়ের মধ্যে টাকা বিতরণ হয়নি। এ জন্য নতুন করে আরও এক বছর সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারিকৃত সার্কুলারে বলা হয়, দেশের যুব সমাজকে সুস্থ ধারার বিনোদন মাধ্যম উপহার দেওয়ার লক্ষে আধুনিক মানের নতুন নতুন সিনেমা হল তৈরি হওয়া জাতীয় স্বার্থে আবশ্যক। এ উদ্দেশ্য সামনে রেখে গঠিত পুনঃঅর্থায়ন স্কীমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন দাখিলের সময়সীমা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তহবিলের সিংহভাগ অর্থ এখনও অব্যবহৃত রয়েছে। সার্বিক বিষয়াদি বিবেচনা করে স্কীমের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণের আবেদন দাখিলের সময়সীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘন্টা : ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
জেডএ/জেএইচ