ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বগুড়ার বাজারে সবজির কেজিতে দাম কমেছে ২০ টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
বগুড়ার বাজারে সবজির কেজিতে দাম কমেছে ২০ টাকা সবজির দোকানে ব্যস্ত বিক্রেতা

বগুড়া: বগুড়ার বাজারে প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি কমেছে ১০-২০ টাকা। সাতদিন আগে যে সবজির দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা তা এখন ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এতে করে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি।  

এদিকে সবজির দাম কমায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, দাম কমে যাওয়ায় সবজি বিক্রি করে খরচ উঠছে না।

জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের মধ্যে বগুড়ায় সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। জেলায় শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করেন কৃষকরা। শীত মৌসুমে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আগাম সবজি উৎপাদন হয়েছে ৮০ হাজার টন। এছাড়া উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। ফলন ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টন। বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে শীতকালীন সবজির দাম শুরুতে বেশি ছিল। বিভিন্ন সময় কাঁচাবাজারে দাম ওঠা-নামা করলেও এখন প্রচুর আমদানি থাকায় কমেছে দাম।  

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সব ধরনের সবজির আমদানি আবারও বেড়েছে। যে কারণে কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা দাম কমে গেছে। তবে আর কিছুদিন পর আমদানি কমে যেতে পারে, তখন আবার দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বগুড়া শহরের ফতেহ আলী, রাজাবাজার, কলোনি, খান্দার ও বকশি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫-৪০ টাকা কেজি। মটরশুঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। যা আগে বিক্রি ছিল ১৬০ টাকা কেজি। বেগুনের দাম কমে ২০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি ১০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, শিম ২০-৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, মূলা ২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৪০-৫০ টাকা, শসা ২৫ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পাতা কপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা।

বগুড়া রাজাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী পান্না মিয়া বলেন, সবজির আদমানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। ফলে বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

বাজারে সবজি কিনতে আসা শহরের কলোনি এলাকার নুরুল ইসলাম বলেন, সবজির দাম কম। তাই বেশি বেশি করে কিনছি।

বগুড়া সদরের সাবগ্রাম এলাকার কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, বাজারে কম দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে লোকসানে পড়তে হচ্ছে। এক মণ সবজি বিক্রি করে একজন শ্রমিকের খরচও উঠছে না -এমন পরিস্থিতি।

রাজাবাজার পাইকারি আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাফায়েতুল ইসলাম বাবু বলেন, বগুড়ার বৃহত্তর সবজির মোকাম মহাস্থান হাটে আমদানি বাড়ায় খুচরা বাজারে সবজির দাম কমেছে। বগুড়ায় প্রচুর শীতকালীন সবজরি আবাদ হয়েছে। যা বগুড়ার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলাতেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।