ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোশাক শিল্পের উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা চায় বিজিএমইএ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
পোশাক শিল্পের উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা চায় বিজিএমইএ

ঢাকা: পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা চেয়েছে বিজিএমইএ। দেশটির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিজিএমইএ পরিদর্শন করতে এলে এই সহায়তা চাওয়া হয়।

 

প্রতিনিধিদল আরও টেকসই উপায়ে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে সম্ভাব্য আরও সহযোগিতা দেওয়ার সুযোগ নিয়ে বিজিএমইএর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে।

পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন পিম জ্ঞ্যান ট্রিয়েন, আলেকজান্ডার হ্যামেলবার্গ, মোস্তফা আমহাউচ, হেমন্ত ডিরুন ও দিয়েনেকে ভ্যান ডার গ্রাফ।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, ডেপুটি হেড অব মিশন বিজন ভট্টা, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মিরান আলী ও দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি বাস মাউ।

বৈঠকে তারা বিশেষ করে, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন সার্কুলার ফ্যাশন, রিসাইক্লিং, জ্বালানি দক্ষতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে শিল্পকে সহায়তা করার সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান প্রতিনিধিদলের কাছে পোশাক শিল্পে নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলা এবং সামাজিক ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনে শিল্পের অগ্রগতি বিষয়ে সার্বিক বর্ণনা দেন।

তিনি ডাচ সংসদ সদস্যদের বিজিএমইর টেকসই কৌশলগত রূপকল্প ২০৩০ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, এই রূপকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি টেকসই এবং উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, বিজিএমইএর নতুন প্রত্যয়ের রূপকল্প অনুসারে, শিল্পটি উদ্ভাবন, ডিজিটাইজেশন, পণ্য ও বাজারের বৈচিত্র্যকরণ এবং আরও উৎপাদনশীল হওয়ার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে টেকসই থাকার প্রচেষ্টার পাশাপাশি সামাজিক, পরিবেশগত এবং জনগণের জন্য বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করে চলেছে।

ফারুক হাসান টেক্সটাইল শিল্পের জন্য বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ওয়ান স্টপ রিসোর্স সেন্টার ও জ্ঞানকেন্দ্র (নলেজ হাব), টেক্সটাইল টেকনোলজি বিজনেস সেন্টারকে (টিটিবিসি)  সহায়তা করার জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি নেদারল্যান্ডের সফররত পার্লামেন্ট সদস্যদের মাধ্যমে নেদারল্যান্ডস সরকারকে বাংলাদেশের এলডিসি রোশন নির্বিঘ্ন রাখার জন্য জিএসপির (ইবিএ) ট্রানজিশন পিরিয়ড তিন বছর থেকে এখন ছয় বছর সম্প্রসারণের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প যেন আরও জ্বালানি ও সম্পদ সাশ্রয়ী হয়ে উঠতে পারে, রিসাইক্লিং এবং অন্যান্য পরিবেশগত বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে, সেজন্য নেদারল্যান্ডস সরকারকে জ্ঞান, প্রযুক্তি ও তহবিলের দিক দিয়ে আরও সহযোগিতা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

তিনি শীর্ষস্থানীয় ডাচ ফ্যাশন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউটগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (বিইউএফটি) শিক্ষার্থীদের টেক্সটাইল, পোশাক, ফ্যাশন, ডিজাইন ও ব্যবসা প্রভৃতি বিষয়গুলোতে আরও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা কামনা করেন।

তারা পোশাক শিল্পের উন্নতি এবং শ্রমিকদের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এমকে/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।