ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজুস উইমেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৭০ জুয়েলারি উদ্যোক্তা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
বাজুস উইমেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৭০ জুয়েলারি উদ্যোক্তা ৭০ নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জুয়েলারি শিল্পে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ৭০ নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সংগঠনটি দ্বিতীয়বারের মতো বাজুস উইমেন অ্যাওয়ার্ড দিলো।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের বাজুস কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ণিল অনুষ্ঠানে বাজুস উইমেন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন উইমেন অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশের শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন উইমেন অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান ফরিদা হোসেন। বক্তব্য দেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন উইমেন অ্যাফেয়ার্সের ভাইস-চেয়ারম্যান সোহানা রউফ চৌধুরী। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন উইমেন অ্যাফেয়ার্সের সদস্য তাসনিম নাজ মোনা।



অনুষ্ঠানে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, গত ৩২ বছর ধরে নারীরা দেশ চালাচ্ছেন। এই জিনিসটা কিন্তু ভোলা উচিত না। আমিও চাই, বাজুসে নারীরা আরও এগিয়ে আসুক। আমি চাই আগামীতে নারীরা আরও সক্রিয় হবেন। আমিও চাই আপনারা দোকানে গিয়ে বলবেন কীভাবে গহনা সুন্দর হবে। আপনারা (নারী) পুরুষের চেয়ে ভালো বলতে পারবেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান বলেন, পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও জুয়েলারিসহ সকল খাতে আরও বেশি এগিয়ে যাবে, এটাই প্রত্যাশা করছি। আগামী দিনের অর্থনীতিতে জুয়েলারি খাত বড় ভূমিকা রাখবে। সেখানে নারী উদ্যোক্তাদেরও অনেক অবদান থাকবে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন উইমেন অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান ফরিদা হোসেন বলেন, নিজ নিজ যোগ্যতায় সমাজের নারীরা জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা ও ব্যবসা বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে নারীরা নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন উইমেন অ্যাফেয়ার্সের ভাইস-চেয়ারম্যান সোহানা রউফ চৌধুরী বলেন, খুব কম সংখ্যক নারী জুয়েলারি শিল্পে আছেন। আরও মেয়েরা জুয়েলারি শিল্পে এলে আমরা আরও শক্তিশালী হব। নারীদের জুয়েলারি শিল্পে নিয়ে আসতে কাজ করছি আমরা। আরও বেশি নারীদের এই পেশায় যুক্ত করতে আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করছি।

বাজুস উইমেন অ্যাওয়ার্ড জয়ী ৭০ নারী জুয়েলারি উদ্যোক্তা হলেন—কাজী তুহুরা রশিদ, শেফালী মালাকার, ফরিদা হোসেন, কাজী নাজনীন হোসেন, সোহানা রউফ চৌধুরী, সবিতা আগরওয়ালা, মুক্তা রানী ঘোষ, তাসনিম নাজ, সুলতানা রাজিয়া, ডলি কর্মকার, প্রতিমা সাহা, কোহিনুর আক্তার চৌধুরী, আফরিনা হাসনাত, কাজী নূরজাহান (রিনা), সুমা দাস, কাজল রানী ঘোষ, মেহেরুন নেছা, ফেরদৌসী সাদেক, সংযুক্তা দেবনাথ, ফিরোজা আকতার, প্রভাবতী বর্মন, মমতাজ বেগম, রীতা দে, মঞ্জু রানী দাস, তিলোত্তমা ভট্টাচার্য, নমিতা কর্মকার, সর্বরী কর্মকার, সেলিমা আক্তার, ফাহিমা আক্তার, হেলেনা আক্তার, শিউলী শারমিন, রুম্পা মল্লিক, নাহিদা সুলতানা, রিতা বসাক, শারমিন নুসরাত, রুবাইয়া আমিন রূপা, সুমাইয়া আক্তার, ইতি বাড়ৈ, লিপি রানী রায়, আলেয়া বেগম, লক্ষী রানী ঘোষ, সেলিমা বেগম, শিখা রানী সরকার, সুমাইয়া সিন পাশা, ফারহানা আক্তার সাথী, মনিকা কর্মকার, বিলকিস আরা, অনিতা সেন, শাহানা বেগম, তুলসী রানী ঘোষ, ভারতী ঘোষ, শাবানা পারভীন, মিনতী রানী ঘোষ, মাখন রানী মন্ডল, সঞ্চিতা বসাক, রেখা রানী সাহা, সিতিমা ভট্ট্রাচার্য্য, পূর্ণিমা ঘোষ, সালমা বেগম, তাহেরুন্নেসা, কুসুম আগরওয়াল, শীলা হাজরা, ববি ঘোষ, প্রতিমা কর্মকার, লিলি রানী সুত্রধর, অঞ্জনা রানী ঘোষ, শামিম আরা জোসনা, লাবনীতা রানী কর্মকার, করুনা ঘোষ এবং শাহিনা খাতুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।