ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মে মাসে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
মে মাসে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি

ঢাকা: চলতি বছরের মে মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সোমবার (৫ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

এর আগে গতকাল রোববার (৪ জুন) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু মে মাসে মোট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। একই মাসে এ খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। দেখা যাচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম আয় হয়েছে। কিন্তু, প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশে।

মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ওভেন পোশাক খাতে ১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। যেভাবে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর নিটওয়্যার পোশাকখাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। যেখানে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার বা ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। চলতি ১১ মাসে পোশাক রপ্তানি খাতে অর্জিত হয়েছে ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার।

গত বছর (২০২১-২২) জুলাই-মে সময়ে আয় হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে চলতি বছরের জুলাই-মে সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএ’র পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এটা আসলে স্বাভাবিক না। এটার বেশ কিছু কারণ আছে। এপ্রিলে ঈদ হওয়ায় এমনটি দেখা গেছে। ঈদের মাসে কর্মদিবস কম হলে কিছু রপ্তানি পরের মাসে যোগ হয়। আর গত বছরের মে মাসে ঈদ ছিল। এক্সপোর্ট কম থাকায় (প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার) এ বছর যখন ৪ বিলিয়ন আমরা তুলনা করছি, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রবৃদ্ধি বেশি দেখাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এ বছরের যে লক্ষ্যমাত্রা, খুব ভয়ংকর কিছু না ঘটলে আমরা সেটি অর্জন করতে পারবো। তবে, এর মানে কিন্তু এই না যে আমাদের ক্রয়াদেশ প্রচুর আছে বা প্রচুর প্রবৃদ্ধি হচ্ছে বিষয়টি তেমনও নয়। কারণ, বৈশ্বিক একটি অর্থনৈতিক খারাপ সময় যাচ্ছে। যেটা হচ্ছে ক্রেতারা সতর্কভাবে ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। তারা স্টক দেখছে। তবে, আশা করছি সামনের বছরগুলোয় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
এমকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।