ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজধানীর বাজারজুড়ে আমের ঘ্রাণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
রাজধানীর বাজারজুড়ে আমের ঘ্রাণ

ঢাকা: মধুমাস জ্যৈষ্ঠ প্রায় শেষ হতে চললো। এ মাসকে মধুমাস বলার কারণ হচ্ছে- এ মাসে বিভিন্ন নামের-রঙের-ঘ্রাণের-স্বাদের ফল বাজারে আসে।

এর মধ্যে অন্যতম আম। ভরা মৌসুম হওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে এসেছে প্রচুর পরিমাণে আম।

শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিকেতন বাজার, মহাখালী বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে।

বাজারে বর্তমানে আম্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙা আম রয়েছে। এর মধ্যে বেশি চাহিদা হিমসাগর ও ল্যাংড়া আমের। হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, এছাড়া আম্রপালি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, হাঁড়িভাঙা ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজার মায়ের দোয়া ফলভাণ্ডারের মালিক আবদুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মূলত চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম কিনে আনি। এখন মৌসুম চলছে, বাজারে পরিপূর্ণ সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু, দাম একটু বেশিই ভরা মৌসুমে। আমরা একটু বেশি দরেই কিনেছি। এ বছর খরার জন্য আম অনেক নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য একটু দাম বেশি।

আরেক ব্যবসায়ী শাজাহান সরদার বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে আম ভালোই বিক্রি হচ্ছে। একটু বেশি দাম হলেও স্বাদের জন্য মানুষ আম কিনছেন। অন্যান্য ফলের তুলনায় বাজারে আমের চাহিদাই বেশি।

আম্রপালি কিনছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাহিদ হোসেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আম্রপালির ঘ্রাণ আর স্বাদই অন্যরকম। তাই এ আমই কিনি সাধারণত। পরিবারের লোকজনও পছন্দ করে। তবে দামটা ভরা মৌসুম হিসেবে একটু বেশি।

শাহরিয়ার হোসেন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এখন আম-লিচুর মৌসুম, এজন্য মানুষের আগ্রহও আছে।  এ সুযোগটাই নিচ্ছে বিক্রেতারা। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ব্যবসায়ীরা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে আম কিনেছে। সেটাই ঢাকায় এনে বিক্রি করছে দুই থেকে তিন গুণ বেশি দামে। এটা করে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে।

আম ছাড়াও বাজারে জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, তালের শাঁস, ঢেউয়া, আনারসসহ বাহারি স্বাদের ও ঘ্রাণের মৌসুমি ফল পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এমকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।